এবার বড় ঘটনা প্রকাশ্যে চলে এল বিজেপির। খোদ দলের মহিলা মোর্চার নেত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগ উঠেছে শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে। এখানের সাংসদ বিরোধী দলনেতার ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। আর যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে তিনি হলেন শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ তমলুক বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবকমল দাস। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর একসঙ্গে একমঞ্চে ছবিও আছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ঢি ঢি পড়ে গিয়েছে। ꦯগোটা ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস তীব্র নিন্দা করেছেন। আর যুবতীর বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় জাতীয় নারী কমিশনের কর্ত্রী রেখা শর্মা একইরকম উদ্যোগ নিন বলে আবেদন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের এক্স হ্যান্ডেলে গোটা বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে নির্যাতিতা গোটা ঘটনা বিস্তারিত জানিয়েছেন🅺। ওই যুবতী তমলুক মহিলা মোর্চার সদস্য। সন্দেশখালি নিয়ে যখন বিজেপি ধোঁয়া তুলতে চাইছে তখন নিজের ঘরেই মহিলাদের জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে বলে অভিযোগ। সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন হয়েছে বলে সোচ্চার হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থেকে শুরু করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বারবার সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। অথচ তাঁর খাসতালুকে দলের অন্দরে নারী নির্যাতন নিয়ে চুপ করে আছেন বলে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে ওই♑ ভিডিয়ো–তে নির্যাতিতাকে বলেছেন, ‘আমি অসীমা প্রামাণিক। তমলুক সা♒ংগঠনিক জেলা মহিলা মোর্চার সদস্য পদে আছি। আমার সঙ্গে দলের জেলা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেবকমল দাস অত্যন্ত জঘন্য ব্যবহার করেছে। আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নানা জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যায়। আর একাধিক জায়গায় নিয়ে গিয়ে সহবাস করে। আমি যে ভাড়া বাড়িতে থাকি সেখানে এসেও দেবকমল দাস আমার সঙ্গে সহবাস করে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মহিষাদলে সরস্বতী পুজোর দিন একটি পুজোমণ্ডপে নিয়ে যায়। তারপর গেঁওখালি পেরিয়ে ডায়মন্ডহারবার নিয়ে আসে দেবকমল। সেখানে আমি জানতে পারি সে বিবাহিত। তখন আমাকে বলা হয় স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নয়। বিবাহবিচ্ছেদ করে আমাকে নিয়েই ঘর বাঁধবে। আমায় বড় নেত্রী করার আশ্বাসও দেয়।’
আরও পড়ুন: কল্যাণী এইমস রবিবার উদ্বোধন ♓করবেন প্রধানমন্ত্রী, চালু হয়েছিল তিন বছর আগেই
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই আশ্বাসে বিশ্বাস করেন ওই নির্যাতিতা। আর বিয়ের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। নির্যাতিতা অসীমা প্রামাণিকের ভিডিয়ো বয়ান অনুযায়ী, ‘এর পর ডায়মন্ডহারবারে আমার সঙ্গে সহবাস করা হয়। সেখান থেকে তমলুক ♍ফেরার পথে নিমতলা মোড়ে পরিকল্পনা করে বেশ কয়েকজন বন্ধুকে জড়ো করে। আর আমার কাছ থেকে ধস্তাধস্তি করে ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আর আমাকে মারধর করা হয়। সেই ফোন থেকে সব ডিলিট করে দেয়। পরেরদিন ফোন ফেরত দেওয়া হলে দেখি কোনও তথ্য ন𝄹েই। এরপর দেবকমলের বাড়িতে গেলে আরও ভয়ঙ্কর ঘটনা ওরা ঘটায়।’ যুবতীর হাতে, গলায় নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। কালশিটের দাগ ফেলে দেওয়া হয়েছে মেরে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একই ধরণের পদক্ষেপ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে রেখা শর্মাকে। পুলিশ এবং প্রশাসন নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে বলেও জানানো হয়েছে।