দিনহাটা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহের এক লক্ষেরও বেশি ভোটে জেতা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। কটাক্ষের সুরে বিজেপি সাংসদ জানান, ক্লাস টেস্টে ফেল করে অনলাইন পরীক্ষায় ফার্স্ট ডিভিশন বা স্টার পেলে তা নিয়ে গর্ব করার মতো কোনও বিষয় নেই। সম্প্রতি এক দলীয় অনুষ্ঠানে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘কোনও ছাত্র ক্লাস টেস্টের পরীক্ষায় ফেল করে যদি ভার্চুয়াল পরীক্ষার মাধ্যমে স্টার পায় বা ফার্স্ট ডিভিশন পায়, সেটা নিয়ে গর্ব করা বা বড়াই করে বলার কিছু নেই। পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছে, তাতে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি, পুরসভা ভোটে শহরাঞ্চলের মানুষরাও অবাধে ভোট দিতে পারবেন কিনা। এই বিপুল ব্যবধানে জয় নিয়ে তৃণমূলের নেতাদের মধ্যেই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। রাজ্যে গণতন্ত্রকে কীভাবে ভুলুণ্ঠিত করা হচ্ছে, তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন।’ শনিবার বিজেপির জেলা কার্যালয়ে ভাইফোঁটা উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। সেখানেই তৃণমূলকে নিশানা করে কটাক্ষ ছুড়ে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে দলকে কীভাবে সাংগঠনিকভাবে চাঙ্গা করা যায়, তা নিয়ে নিজের অবস্থানের কথা জানান নিশীথ প্রামাণিক। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, জেলায় অনেক বড় নেতা রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার দরকার রয়েছে। সংগঠনকে কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, তা সকলে মিলেই সিদ্ধান্ত নেব। এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদকে উদ্দেশ্য করে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিধায়ক উদয়ন গুহ। নিশীথকে উদ্দেশ্য করেই উদয়ন জানান, ‘নিশীথ নিজের বুথে এজেন্ট দিতে পারেননি। ওর তো কথা না বলে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে এক বছর ঘুরে বেড়ানো উচিত। পুরসভা নির্বাচনের সময়ে নিশীথ কোথাও বসার জায়গা খুঁজে পাবে না। পুরসভা নির্বাচনের সময়ে নিশীথ কারও বাড়িতে ভোট চাইতে গেলে মানুষ বসতে পর্যন্ত দেবে না।’ উল্লেখ্য, উপনির্বাচনে প্রায় দেড় লক্ষেরও বেশি ভোটে বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডলকে হারিয়ে দেন তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। অথচ এর আগে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে মাত্র ৫৭ ভোটে উদয়নবাবুকে হারিয়ে দেন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। তবে ভোটে জিতেও সাংসদ হওয়ার সুবাদে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন তিনি। ফলে ফের ভোট করতে হয়।