দক্ষিণদিনাজপুরের বালুরঘাটে ভোট প্রচারে গিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আর সেখানে গিয়ে তিনি নিশানা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। তাঁর অভিযোগ কার্যকালের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া উপাচার্যদের বদলে নতুন নিয়োগের জন্য রাজ্য়ে তরফে সার্চ কমিটি গঠন করার প্রস্তাব রাজভবনে পাঠানো হয়েছে। কিন্ত🍸ু আচার্য তথা রাজ্যপাল তা ফেলে রেখেছেন বলে অভিযোগ ব্রাত্যর। ব্রাত্যর মতে, এটাও একরকমের রাজনীতি।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটি তৈরি করতে হয়। আর সেই সার্চ কমিটি রাজ্য়পালের কাছে অনুমোদন করা হয়। সেক্ষেত্রে সার্চ কমিটি রাজভবন থেকে অনুমোদিত হয়ে আসার পরে তারপর সেই সার্চ কমিটি অন্তত তিনটি নামকে উপাচার্য হিসাবে মনোনীত করেন। সেই অনুসারে সেটা ফের রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়। রাজ꧒্য়পাল তার মধ্য়ে থেকে একটি নামকে বেছে নিতে পারেন। আবার তিনি সব নামকেই বাতিল করে দিতে পারেন।
তবে এবার ভোট প্রচারে গিয়ে সেই উপাচার্য ⛎নিয়োগ নিয়েই রাজ্যপালকে নিশানা করলেন রাজ্য়ের শিক্ষামন্ত্রী।
প্রসঙ্গত রাজ্য়ের ৩💫১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য়ে ২৭টিতে গত বছর অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। সেই উপাচার্যদের কার্যকালের মেয়াদ ৬ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এরপর রাজ্য়সরকার প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট ও পরে সুপ্রিম কোর্টে যায়।
আর ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, নতুন উপাচার্য নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং রাজ্যপালের প্রতিনিধিদেরও🔯 রেখে সার্চ কমিটি তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে রাজ্য়পাল কোনও সাড়াশব্দ করছেন না।
তবে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল বিরোধ নতুন কিছু নয়। এককভাবে রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজ্যের চার বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ তুলেছিল রাজ্য সরকার। এ🍰মন𝐆কী উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে সরাসরি চিঠি পাঠিয়ে রাজভবনকে বলা হয়েছিল, রাজ্যপাল যেন তাঁর নির্দেশ প্রত্যাহার করেন।
উচ্চশিক্ষা দফতরের উচ্চপদস্থ বিশেষ সচিব ওই চিঠিতে দাবি করেন, এই নিয়োগের বিষয়ে গত ৫ এপ্রিল রাজভবনের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করা হয়েছিল। আর সেই সোশ্যাল মিড☂িয়া প্ল্যাটফর্মে লেখা হয়েছিল, শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ অনুযায়ী রাজ্যপাল দার্জিলিং হিলস, ঝাড়গ্রাম সাধু রামচাঁদ মুর্মু, উত্তর ২৪ পরগনার হরিচাঁদ গুরুচাঁদ এবং হুগলির রানী রাসমণি গ্রিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন। যদিও এমন কোনও সুপারিশ শিক্ষামন্ত্রী করেননি বলে দাবি করেছিলেন তিনি। আর তারপরই ওই রাজভবনের এক্স হ্যান্ডলের পোস্ট মুছে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এবার ফের সেই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সরব হলেন শ♏িক্ষামন্ত্রী।