বর্ধমান স্টেশনে বড়সড় দুর্ঘটনা। ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা জলের ট্যাঙ্ক ফেটে গুরুতর আহত অন্তত ২৭ জন যাত্রী। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩ জনের। জানা গিয়েছে, জলের ট্যাঙ্কটি দুপুর ১২টা ৮ মিনিট নাগাদ ভেঙে পড়ে। প্ল্যাটফর্মের শেডের ওপর ভেঙে পড়ে ট্যাঙ্কের লোহার অংশ। এর জেরে গুরুতর আহত হন অপেক্ষারত যাত্রীরা। পরে শেডের ধ্বংসস্তূপের নীচে থেকে উদ্ধার করে বেশ কয়েকজন যাত্রীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে এই দুর্ঘটনার জেরে রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। এদিকে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ায় গোটা স্টেশন জলজল থৈ-থৈ। এদিকে ট্যাঙ্কের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। (আরও পড়ুন: 'GST-র এক টাকাও বকি নেই, ৪ বছরে AG-র কোনও রিপোর্ট ♊দেয়নি বাংলা', বললেন নির্মলা)
পূর❀্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটাস্থলে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা পৌঁছেছেন। ডিভিশন রেল ম্যানেজার এবং মুখ্য ইঞ্জিনিয়ারও যাচ্ছেন। ওদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পুলিশ আধিকারিকরাও। এদিকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ বর্ধমানের ১ এবং ৪ নম্বর লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফ থেকে। এদিকে দুর্ঘটনার নেপথ্যে রক্ষণাবেক্ষণের গাফিলতি আছে কি না, তা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি রেল। তবে আপাতত উদ্ধারকাজে মনে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানানো হয় পূর্ব রেলের তরফ থেকে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০ সালে বর্ধমান স্টেশনেরই মূল ফটক ভেঙে পড়ে দুই যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছিলেন। একজন মারা গিয়েছিলেন। সেই ঘটনার তিন বছর পর আবারও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটল এই প্রাচীন রেল জংশনে।
আরও পড়ুন: ফিরহাদ-মলয়দের নিয়ে বিস্ফোরক তাপস পালের পরিবার, অভিযোগ খোদ মমতাকে নিয়ে༺ও