হাতে আর একসপ্তাহ বাকি। আগামী ১৩ নভেম্বর বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে হবে উপনির্বাচন। আর এই উপনির্বাচনের প্রাক্কালে আবার ভাঙন ধরল বিজেপিতে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। একেবারে ঘরে ঢুকে ভাঙন ধরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির ইন্দপুর মণ্ডলের যুব নেতা–সহ মোট ২২ জন যুব🍒 মোর্চার সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আজ, মঙ্গলবার তালড্যাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের ইন্দপুরের ঝরিয়া গ্রামে স্থানীয় ইন্দপুর মণ্ডল–২ যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি রাজীব পাল–সহ ২০ জন এবং বিজেপির প্রতীকে ঝরিয়া আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা রোহিনী বাউরি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।
এই যোগদান তালড্যাংরায় বড় প্রভাব ফেলবে বলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। এদিন তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তালড্যাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু। বিজেপি ছেড়ে আসা ইন্দপুর মণ্ডল–২ যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি রাজীব পালের দাবি, ‘ওই দলে কাজ করার সুযোগ নেই। তাছাড়া বিজেপিতে যোগ্য লোকের অভাব ছিল। যার জন্যই তো বহিরাগতকে প্রার্থী করতে হল। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’ বিজেপি থেকে আসা নেতাদের হাতে দ🌳লীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়। উপনির্বাচনের আগে এভাবে যুব সংগঠন ভেঙে গেলে জেতা অসম্ভব হয়ে যায় বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইকোপার্কে গড়ে উঠেছে ‘সোলার ডোম’, কী আছে সেখানে? উদ্বোধন করে জানাবেন ফিরহাদ
এখানে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ডা. সুভাষ সরকারকে গোহারা হারিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বিধায়ক থেকে সাংসদ হন। তার ফলেই বিধায়ক পদ শূন্য হয়ে পড়ে। তাই এখানে উপনির্বাচন হচ্ছে। সেখানে এমন ভাঙন দেখা দেওয়ায় চাপে পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই বিষয়ে তালড্যাংরা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু বলেন, ‘আগামী দিনে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কেউ ♓থাকবে না। সবাই দলে দলে এখানে যোগ দেবেন।’
এই ঘটনা ঘটলেও খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। এই যোগদান কার্যত অস্বীকার করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, গোটা বিষয়টি আসলে ‘সাজানো’। এই বিষয়ে বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার বক্তব্য, ‘উপনির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের দলের লোককে তাঁদের দলে ঢুকিয়ে বিজেপির লোক বলে চালানোর চেষ্টা করছে। যারা ওই দলে যোগ দিয়েছে বলা হচ্ছে তারা কোনদিনই বিজেপির সঙ্গে ছিল না। ভোটের মুখে দলবদলের নাটক করে বাঁকুড়ার রাজনীতির বাতাবরণ নতুন করে সরগরম করা হচ্ছে🎃।’