আজ, শনিবার বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, শুরু থেকেই ৬টি কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী গত বিধানসভা নির্বাচনে যে মাদারিহাট থেকে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছিল, সেই মাদারিহাট হাতছাড়া হল গেরুয়া শিবিরের। মাদারিহাটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো ৩০ হাজারের ভোটে জয়ী হয়েছেন। উপনির্বাচনের আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, ফলাফল ৬–০ হবে। সেটা বিরোধীরা যেন মিলিয়ে নেয়। এখনও পর্যন্ত যা ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে তাতে সেই ꦺভবিষ্যদ্বাণী মিলতে চলেছে। এই আবহে আরও দুটি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সে দুটি হল—সিতাই এবং নৈহাটি।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে ছয় বিধানসভা কেন্দ্রেই উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ক﷽র্মী–সমর্থকরা। অকাল হোলি খেলতে শুরু করেছেন। সুতরাং উত্তরবঙ্গে আরও শক্তঘাঁটি তৈরি করল তৃণমূল কংগ্রেস। মাদারিহাট–সিতাই দুটিই উত্তরবঙ্গের আসন। আগে দিনহাটা জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নিশীথ প্রামাণিককেও পরাজিত করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সুতরাং ধীরে ধীরে উত্তরবঙ্গের মাটি শক্ত হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এক্ষেত্রে দু’জনের পরিশ্রমের মূল্য পেল। উদয়ন গুহ এবং জগদীশ বর্মা বসুনিয়া।
আরও পড়ুন: ‘২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে’, উপনির্বাচনের ফল দেখে দাবি সুকান্তের
অন্যদিকে মেদিনীপুর, তালড্যাংরা, হাড়োয়ায় এগিয়ে আছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর নৈহাটিতে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সনৎ দে। সেক্ষেত্রে অর্জুন সিং এখানে ফ্যাক্টর হল না। যিনি বিজেপির সংগঠন দেখছিলেন। বরং এখানে পার্থ ভৌমিকের ক্যারিশ্মা কাজে এল। লোকসভা নির্বাচনে পার্থ ভৌমিক পরাজিত করেছিলেন অর্জুন সিংকে। তখন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল, এখানের সংগঠন তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তঘাঁটি। এখানের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামও তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। তার উপর কংগ্রেস এবং বামেদের উপর মানুষ ভরসা করেনি। কারণ এখানে সিপিআই (এমএল) লিবারেশন অর্থাৎ নকশাল দলকে আসনটি ছেড়ে দেয় বামেরা। যা আর একটা ঐতিহাসিক ভুল বলে মনে 🍰করা হচ্ছে।