হলদিয়া বন্দরে লরি থেকে তোলাবাজির অভিযোগের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২১ ফেব্রুয়ারি এই নির্দেশ পাওয়ার পর শুক্রবার থেকে তদন্তে নামলো সিবিআই। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হলদিয়া বন্দরে তোলাবাজি নিয়ে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আর তার ঠিক পরেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তদন্ত শুরু করায় সিবিআইকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেই দাবি তৃণমূল। যদিও পদ্মশিবিরের বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সংস্থা তদন্ত শুরু করেছে। তোলাবাজির অভিযোগে গত বছর আইএনটিটিইউসি নেতা রাজীব পালকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি হলদিয়া বন্দর থেকে বেরোনো ট্রাক পিছু ৫০০ থেকে হাজার টাকা করে তোলা তুলতেন। তিনি কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। পরে অবশ্য কলকাতা হাইকোর্ট তাকে জামিন দিয়ে দেয়। এরই মধ্যে এই ঘটনায় নাম জড়ায় শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ শ্যামল আদকের।তোলাবাজির ঘটনায় শুক্রবার মামলা রুজু করেছে সিবিআই। এরপরে হলদিয়া থানার আইসির সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ধরে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। পাশাপাশি তোলাবাজি সংক্রান্ত সমস্ত নথি পুলিশের কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এছাড়াও, হলদিয়া বন্দরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ে যায় সিবিআই। ভবনটির ছবি তোলার পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে সিবিআই আধিকারিকরা এদিন কথা বলেন।