বারবার বলা সত্বেও করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের কাছে কেন্দ্রের তরফে তেমন সাহায্য আসছে না। সেই পরিস্থিতিতে সরকারের কাছে যে অনুদান এসে পৌঁছোচ্ছে, সেটাই করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে এখন আশা জোগাচ্ছে। এমনটাই দাবি রাজ্যের।রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রশাসনের তরফে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, কেন্দ্রের তরফে করোনা মোকাবিলায় যে পরিমাণ সাহায্য আশা করা হয়েছিল, তা করা হচ্ছে না। ফলে রাজ্য সরকারকে আর্থিক পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন করতে হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত স্টেট রিলিফ ফান্ড খাতে কেন্দ্রের কাছ থেকে ৪০৪ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। তার প্রায় ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ২০০ কোটি টাকা করোনা ব্যবস্থাপনায় খরচ করা সম্ভব। ন্যাশনাল হেলথ মিশন প্রকল্পে পাওয়া ৩০৫ কোটি টাকার কিছুটা করোনা খাতে ব্যবহার করতে পারবে রাজ্য সরকার। এছাড়াও শুধু করোনা খাতে কেন্দ্রের কাছ থেকে ৮ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত করোনা মোকাবিলায় গত ৬ মাসে কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য সরকার। হাসপাতালের পরিকাঠামো বৃদ্ধি, অক্সিজেন, টিকা, ওষুধের জোগান মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১,৭০০ কোটি স্বাস্থ্য দফতরকে দিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর। নির্বাচনের আগে ভোট অন অ্যাকাউন্টে ১২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা স্বাস্থ্য দফতরকে দেওয়া হয়েছিল। তার ২৫ শতাংশ খরচের অনুমতি দিয়েছে অর্থ দফতর। এর বড় অংশের টাকাই করোনা খাতে খরচ হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য দফতরের সূত্রে খবর। করোনা মোকাবিলা করতে আরও ১৩ হাজার চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান, স্বাস্থ্য কর্মীকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করতে হয়েছে সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে যদি কেন্দ্রীয় সাহায্য আসত, তাহলে অনেকটাই সুবিধা হত বলে রাজ্য সরকারের অভিমত। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে তেমন সাহায্য আসছে না বলে দাবি করা হয়েছে।ফলে এখন করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে অনুদান।প্রশাসনিক সূত্রে খবর, করোনা কালে অনুদানের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বিশেষত দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কার সময় তা আরও বেড়েছে। গত এক মাস আগেও যেখানে অনুদানের পরিমাণ ছিল ১৫০ কোটি টাকা, সেখানে এখন রাজ্যে অনুদানের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫০ কোটি টাকায়।ভবিষ্যতে যদি এভাবে সুবিধা আসতে থাকে, তাহলে রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে করোনা মোকাবিলায় অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।