শুক্রবার সকালে তুফানগঞ্জ থেকে অন্তঃসত্ত্বা বধূকে আনা হয়েছিল কোচবিহারের সরকারি হাসপাতাল মাতৃমাতে। এদিকে প্রথম থেকেই অসুস্থ ছিল ওই প্রসূতি। প্রবল শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তাঁর। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা এরপর তাঁর সন্তান প্রসব করানোর ব্যাপারে তৎপর হন🐟। তাঁকে সিজারের জন্য টেবিলে নিয়ে আসা হয়। ততক্ষণে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে ক্রমশ। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সিজারের জন্য় পরীক্ষা করার সময়ই মৃত্যু হয়েছিল ওꦺই মায়ের। ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক ১০টা বেজে ৮ মিনিট।
এদিকে ওই মায়ের পেটে তখনও বেঁচে রয়েছে শিশু। ডপলার ও স্টেথোস্কোপ দিয়ে মৃত মায়ের পেটের ভেতর থাকা শিশুটি তখনও বেঁচে রয়েছে বলে বুঝতে পারেন চিকিৎসকরা। কিন্তু সময় নষ্ট হলে সব শেষ হয়ে যাবে। অক্সিজেনের অভাবে মারা যেতে পারে শিশুটিও। আর দেরি করেননি চিকিৎসকরা। দ্রুত সিজারপর্ব শুরু করে দেন তাঁরা।
সকাল ১০টা বেজে ১০ মিনিটে ওই মৃত মায়ের পেট থেকে বেরিয়ে এল ফুটফুটে পুত্রসন্তান। কার্যত অসাধ্য সাধন করলেন কোচবিহারের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সরা। মাকে বাঁচাতে পারেননি তাঁরা। কিন্তু সন্তানকে এই পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন তাঁরা। কষ্টের একটাই, জন্মের আগেই ♛মাকে হারাল ওই ছোট্ট প🍷্রাণ।
আপাতত এসএনসিইউতে রয়েছে ওই শিশুটি। চিকিৎসকরা সবরকমভাবে তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একটু দেরি হলে হয়তো শিশুটিকেও বাঁচানো যেত না। অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গেܫ শিশুটিকে মাত্র ২ মিনিটের মধ্যে মাতৃগর্ভ থেকে বের করে এনেছেন চিকিৎসকরা।