শিলিগুড়িতে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির ১২ ঘণ্টার ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল। বাকবিত🍸ন্ডায় জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও এবিভিপির কর্মী সমর্থকরা। হাতাহাতিতে জড়িয🌊়ে পড়ে দুই সংগঠনের সদস্য সমর্থকরা। ঘটনায় আহত হয়েছেন এবিভিপির এক কর্মী। তাঁকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু, তারপরেও উত্তেজনা অব্যাহত থাকে। শেষে ব়্যাফ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কলেজের পঠনপাঠন স্বাভাবিক হয়।
গত✃ বৃহস্পত♓িবার শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজের এবিভিপির এক ছাত্র কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। তারই প্রতিবাদে আজ শুক্রবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল এবিভিপি। এদিন সকাল থেকেই শিলিগুড়ি পলিটেকনিক কলেজে শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল ধর্মঘট। কোনও ছাত্রকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। এর জন্য কলেজে পোস্টার লাগায় এবিভিপি। তাদের তরফে কলেজ বন্ধ রাখার পোস্টার লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা সেইসব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। কলেজের গেট খুলে দেয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী সমর্থকরা সেখানে জড়ো হয়ে জানিয়ে দেয় কলেজ খ🧸োলা রয়েছে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। শেষে তাদের বচসা গড়াই হাতাহাতিতে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ।
তবে পুলিশ পৌঁছলেও উত্তেজনা কমেনি। পুলিশের সামনেই বচসা বাঁধে দুই সংগঠনের। আরও অভিযোগ, পুলিশের সামনেই ছাত্র পরিষদের কর্মী সমর্থকরা এবিবিপির কর্মী সমর্থকদের পিছু ধাওয়া করে মারধর করে। অনেকেই ভয়ে দোকানে আশ্রয় নেন। কিন্তু সেখানে ঢুকে তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শেষে পরিস্থিতি নি♛য়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয় ব়্যাফ। অভিযোগ, বেশ কয়েকজন বহিরাগত ঢুকেছিল কলেজে। তাদের বের করে দেয় পুলিশ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কলেজের পঠন পাঠন শুরু হয়। শুধুমাত্র যাদের পরিচয় পত্র রয়েছে অর্থাৎ ছাত্রদেরই ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকতে দেয় পুলিশ এদিকে আহত এবিভিপি এক কর্মীকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।