শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার শেয়ারে ধস এবং তাতে দেশে প্রভাব পড়তে পারে আশঙ্কা করে আজ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তোলপ꧒াড় চলছে সংসদে। বিরোধীরা সরকারের কাছে কৈফিয়ত চেয়ে চেপে ধরলে মুলতবি করতে হয় লোকসভার অধিবেশন। এই পরিস্থিতিতে বাংলায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই শেয়ার পড়া নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তুলোধনা করলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও আদানির নাম তিনি মুখে আনেননি।
ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ, বৃহস্পতিবার বর্ধমানে সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারকে একহাত নেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘আরে কাল তো সরকার প্রায় পড়ে যাচ্ছিল। কেন পড়ে যাচ্ছিল জানেন? শেয়ার বাজারে ধস নেমে গিয়েছিল। তারপর কীভাবে বাঁচিয়েছে জানেন? একে তাকে ধরেছ🗹ে। কাদের ধরেছে তাঁদের নাম বলে সমস্যায় ফেলব না। কাউকে বলেছে, ২০ হাজার কোটি টাকা দাও, কাউকে বলেছে ৩০ হাজার কোটি টাকা দাও, কাউকে ১০ হাজার কোটি টাকা দাও। ছ–আট জনের কাছ থেকে এভাবেই টাকা নিয়ে কোনওমতে সরকারকে বাঁচিয়েছে।’
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছিল? শেয়ার ♏বাজার থেকে ২০ হ♐াজার কোটি টাকার ফলো–অন পাবলিক অফার (এফপিও) তুলে নিল আদানি এন্টারপ্রাইজ। যখন বাজেট অধিবেশন চলছে তখন আদানি গোষ্ঠীর পক্ষে জানানো হয়, বিনিয়োগকারীদের পুরো টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের একটি সমীক্ষা রিপোর্টের ধাক্কায় শেয়ার বাজারে বেসামাল অবস্থা আদানি গোষ্ঠীর। হু হু করে দাম পড়েছে তাদের শেয়ারের। এফপিও তোলার ঘোষণা নিয়ে গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতেও ধরা পড়েছে সেই শঙ্কার বাণী। এ🐻দিন আদানি এন্টারপ্রাইজের বোর্ড জানিয়েছে, পুরোপুরি সাবস্ক্রাইব ꧑হয়ে যাওয়া এফপিও তুলে নেওয়া হচ্ছে।
আ𝄹র কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ, বৃহস্পতিবার বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে মমতা বলেন, ‘গতকাল কেন্দ্র একটি বাজেট করেছে। বেকারদের জন্য এ🔯কটি কথাও বলেনি। খরচ করেনি একটি শব্দও। ভোট এলে বলে ২ কোটি চাকরি দেব। মিটে গেলে চাকরি খেয়ে নেয়। সব শিল্প বন্ধ। কাল প্রায় সরকার পড়ে যাচ্ছিল। শেয়ার বাজারে ধস নেমেছিল। টাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে ফোন করে ৬–৮জনকে। বলা হয় শেয়ার কিনতে। যাদের শেয়ার পড়ে যাচ্ছিল, টাকা দিতে বলা হয় তাদের। এই সরকার দিয়ে চলে?’