আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেও তা মিলল না। ফলে আজ, বুধবার অনুপ মাজি ওরফে লালা রক্ষাকবচ পಌেলেন না। কয়লা পাচার কাণ্ডে তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল বাঁকু♕ড়া জেলা আদালত। আজ, বুধবার লালার জামিনের আবেদনের শুনানি শেষে জেলা বিচারক মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন। সুতরাং আদালতে রক্ষাকবচ মিলল না লালার। কয়লা কাণ্ডে অনুপ মাজি ওরফে লালার আগাম জামিনের আবেদন আবার খারিজ করে দিল বাঁকুড়া জেলা আদালত। দীর্ঘ সওয়াল–জবাবের পর শুনানি শেষে জেলা বিচারক মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য এই নির্দেশ দেন।
এদিকে গত ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই মেজিয়া থানায় কয়লা পাচার কাণ্ডে অনুপ মাজি ওরফে লালার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। কেস নম্বর ৭৩/১৭ মেজিয়া। লালার নামে ৩৭৯/৪১১/৪১৩/৪১৪/৪০২/১২০ বি ধারায় মামলা দায়ের হয়। যদিও তার পর থেকেই দীর্ঘদিন অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালা পুলিশের ধরা ছোঁয়𓆉ার বাইরে চলে যান। নানা জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও তাঁকে মেলেনি। এই বিষয়টি মাথায় রয়েছে বিচারপতির। তাই আবার কোথাও পালিয়ে যেতে পারেন লালা। এই আশঙ্কা থেকেই ল꧟ালার আগাম জামিন বা রক্ষাকবচে ‘না’ জানিয়ে দিলেন বিচারক।
অন্যদিকে অনুপ মাজি ওরফে লালা কয়লা পাচার কেলেঙ্কারির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে সিবিআইয়ের শীর্ষ তালিকায় নাম রয়েছে। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের রক্ষাকবচ থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা যায়নি। অথচ তাঁকে নাগালে নিয়ে গোটা দুর্নীতিꦐর জাল গোটাতে চাইছে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা। আগেও একাধিকবার লালার বাড়ি, অফিসে তল্লাশি চলেছে। উদ্ধার করা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। সেখান থেকেই জানা যায়, কয়লা পাচার কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অনুপ মাজি ওরফে লালা। এই কয়লা পাচার করে সে বিরাট টাকার মুনাফা করেছে। অবৈধ কারবারের সঙ্গে জড়িত লꦯালা। তাঁর বেশ কয়েকজন সহযোগীও এই কাজে জড়িত।
আরও পড়ুন: রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠাল জাতীয় নির্বাচনღ কমিশন, নয়া হস্তক্ষেপে আ💮লোড়ন তুঙ্গে
আর কী জানা যাচ্ছে? এই অসাধু চক্রে꧋র সঙ্গে জড়িতদের হদিশ পেয়েছেন ইডি– সিবিআই অফিসার🎃রা। এই সূত্র মিলেছিল ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়ার কাছ থেকে। লেকটাউনের এই ব্যবসায়ীর সঙ্গেও আর্থিক লেনদেন চলত অনুপ মাজি ওরফে লালার। গণেশের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নানা নথি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। একাধিকবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। আজকে আদালতে যা হয়েছে সেই বিষয়ে সরকারি আইনজীবী রথীন দে বলেন, ‘মেজিয়া থানা এলাকায় কয়লা পাচারের একটি মামলায় অনুপ মাজি ওরফে লালা বাঁকুড়া জেলা আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু জেলা বিচারক ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।’