করোনাকে বাগে আনতে এবার ককটেল থেরাপি চালু করতে চ🌼লেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের ৪টি সরকারি হাসপাতালে এই থেরাপি চালু হবে। এর আগে একটি বেসরকারি হাসপাতালে দু'জন করোনা রোগীর ওপর এই থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাতে সুফলও মেলে। এরপর সরকারের তরফেও এই থেরাপি শুরু করার পরিকল্পনা করা হয়।
ককটেল থেরাপি আসলে কী? এই থেরাপি হল একটি বিশেষ ধরনের ইঞ্জেকশন। জানা গিয়েছে, এই ইঞ্জেকশনের প্রতিটির খরচ প্রায় ৬০ হাজার টাকা। এত বেশি দাম হওয়ার কারণেই 🥀কোনও বেসরকারি হাসপাতালই এই প্রয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। সম্প্রতি কেন্দ্রের পাঠানো ককটেল থেরাপির🌜 প্রায় ৩০০টি ভায়াল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরে পড়ে রয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘কলকাতা মেডিকেল কলেজ, শম্ভুনাথ পণ্ডিত, এমআর বাঙ্গুর ও বেলেঘাটা আইডি, এই ৪টি সরকারি হাসপাতালে ককটেল থেরাপি শুরু হবে। চলতি সপ্তাহেই এই থেরাপি শুরু হওয়ার কথা।’ তবে জানা যাচ্ছে, সব ধরনের করোনা রোগীকে এই থেরাপি প্রয়োগ করা যাবে না। যাঁদের বয়স ১২ বা তার চেয়ে বেশি, যাদের ওজন ৪০ কিলোগ্রামের বেশি ও অক্সিজেন সাপোর্টের প্রয়োজন নেই ও যাঁদের অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা আছে, তাঁদের ওপর এই থেরাপি প্রয়োগ করা যাবে।
এর আগে করোনায় চিকিৎসায় থেরাপি যখন প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাতে কিছু ক্ষেত্রে সফল হলেও কিছু ক্ষেত্রে হয়নি। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকদের একাংশের অভিমত, প্লাজমা দেওয়া সময়ে দেখে নেওয়া দরকার সংশ্লিষ্ট ব্🌄যক্তির দেহে কতটা অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। অ্যান🐎্টিবডি যদি কম তৈরি হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে প্লাজমা দেওয়া উচিত নয়। হয়ত এই নিয়ম না মানা হয়নি বলে এই থেরাপি কাজ করেনি। তবে চিকিৎসকরা আশাবাদী, নতুন যে থেরাপি প্রয়োগ করা হবে, সেটা মানুষের দেহে অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা নেবে।