হিন্দু–মুসলিম সম্প্রীতির সাক্ষী থাকল পশ্চিম বর্ধমান জেলার রানিগঞ্জ। অসহায় এক হিন্দু বন্ধুর শেষ কৃত্য সম্পন্ন করার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন এক মুসলিম ব্যক্তি। মুসলিম ব্যক্তির এই ধরনের পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। কবি নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতায় বলে গিয়েছিলেন, ‘মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম, হিন্দু মুসলমান।’ কবির সেই কথারই প্রতিফলন ༺সম্প্রতি পাওয়া গেল।
জানা যায়, হুগলির মগরা এলাকার বাসিন্দা যোগেন্দ্র প্রসাদ দীর্ঘদিন রানিগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে কর্মরত ছিলেন। স্বজনহারার কারণে তাঁর থাকা, খাওয়া সবটাই ছিল বাসস্ট্যান্ডের শ্রমিক বিশ্রামাগারে। আচমকাই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর এই বিশ্রামাগারেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই আইএনটিটিইউসির নেতা। এই শ্রমিক নেতার মৃত্যুর পর শেষ কৃত্যের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন মহম্মদ শামসুদ্দিন। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী মাথ🐓া মুণ্ডন, এমনকি পিণ্ডদান সব কাজই করলেন তিনি। সেইসঙ্গে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। সেখানে ডাল, ভাত, সবজি, মাছ, মিষ্টি সহ ভোজনেরও আয়োজন করা হয়। মুসলিম এই বাসিন্দার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। অনেকেই আর্থিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন🍒।
এই প্রসঙ্গে মহম্মদ শামসুদ্দিন জানান, ‘আমি তো কোনও ধর্মতে জন্ম নিই নি। ধর্ম কী করে জাগবে। পুরুষ মানুষ হিসাবে জন্মেছি। ওদের ধর্ম পালন করলাম। আমার কোনও জাতিভেদ নেই। মানুষ হিসাবে যে কাজ করার দরকার, সেই কাজ আমি করলাম।’ স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ‘রানিগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে যে ঘটনাটি ঘটল, ত🅷া অভূতপূর্ব ঘটনা। মুসলিম বন্ধু হিন্দু বন্ধুর জন্য যে কাজ করলেন, সেটা উদাহারণস্বরূপ ঘটনা। এই ঘটনার সাক্ষী থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। এটাকে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’