দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। এদিকে শনিবার আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরপর বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর বুকে ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসকদের দাবি মারাত্মক মানসিক চাপের জন্য তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।🅘 তবে রবিবার সকালেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় শ্যামাপ্রসাদকে।
এদিন তাকে বꦆিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালত শ্য়💫ামাপ্রসাদকে ১১দিনের জেলা হেফাজতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে শুধু প্রাক্তন মন্ত্রীই নন, তার একাধিক সঙ্গীও এবার পুলিশের আতস কাঁচের নীচে। সরকারি আইনজীবী অরুন কুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে একাধিক নথি ও তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আরও এভিডেন্স আছে। তদন্ত চলছে।
এদিকে ভোটের আগেই বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। তৃণমূলে দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই তিনি বিজেপিতে ভিড়ে গিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি ছিল তাঁর। এদিকে বিজেপির ভরাডুবির পরে ফের শাসক শিবিরে ফিরে আসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হননি তিনি। প্রশ্ন উঠছে বিষ্ণুপুর পুরসভার ১০ কোটি টাকা টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যই কি তৃণমূলে ফিরতে চেয়েছিলেন? এদিকে ইতিমধ্যেই শ্যামাপ্রসাদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৬টি অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। তার নামে একাধিক জমি ও পেট্রল পাম্পেরও হদিশ মিলেছে। তার সম্পত্তির বহর দেখে হতবাক তদন্তকারীরাও। এলাকায় দাপুটে নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। আট থেকে আশি সকলের কাছে তিনি কত্ꦯতাবাবু বলে পরিচিত। বাসিন্দারা বলছেন, সেই কত্তাবাবুর এখন কার্যত লেজেগোবরে অবস্থা।