বাম আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন জীবনভর। বর্ধমান জেলায় সিপিএমের একেবারে প্রথম🌠 সারির নেতা। সেই প্রবীন সিপিএম নেতা মদন ঘোষ প্রয়াত হলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বার্ধক্যজনিত কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সোমবার সকাল ৭টা🎃 ১০ মিনিটে তিনি প্রয়াত হন।
তাঁর প্রয়াণে শোকের ছায়া বাম নেতা কর্মীদের মধ্য়ে। তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন একাধিক বাম নেতৃত্ব। দলের প্রবীণ নেতা রবীন দেব জানিয়েছেন, যে সমস্ত মানুষের পরিশ্রম ও নিষ্ঠার জোরে দল রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল প্রয়াত ম🦩দন ঘোষ ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর মৃত্যু বাম রাজনীতির এক অপূরণীয় ক্ষতি।
দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অবিভক্ত বর্ধমান জেলা সিপিএম⛄ের সম্পাদক ছিলেন। দীর্ঘদিন রাজ্য কমিটিতেও ছিলেন। দলের কৃষকসভায় একেবারে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতেন তিনি। বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদেও ছিলেন মদন ঘোষ।
বাংলার ধানের গোলা বলে পরিচিত বর্ধমান। আর সেই বর্ধমান ছিল একটা সময় সিপিএমের দূর্গ। সেখানে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, দলীয় কর্মীদের সংগঠিত করার কাজ করতেন মদন ঘোষ। তিনি সিপিএমের রাজ্য কমিটিতেও ছিলেন। পাশাপাশি তিনি কেন্দ্✤রীয় কমিটির সদস্যও হয়েছিলেন। প𒅌ার্টি কর্মীদের একাংশের মতে, জীবনে নানা ওঠা নামা হয়েছে। কিন্তু প্রিয় লাল পতাকাকে কখনও ছাড়েননি তিনি। কার্যত পার্টি অন্ত প্রাণ ছিলেন মদন ঘোষ। পার্টির কৃষক সভার মিটিংই হোক, কিংবা কর্মীদের পাশে থাকার কোনও কর্মসূচি একডাকে পাওয়া যেত কমরেড মদন ঘোষকে।
দল সূত্রে খবর, বিকেল পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার দলীয় কার্যালয়ে নেতার দেহ শায়িত থাকবে। কলকাতা থেকে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধ♊া জানাতে দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, রবীন দেব সহ অন্যান্যরা উপস্থিত থাকবেন। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ বর্ধমানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হতে পারে। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাম নেতা কর্মীরা।