উত্তুরে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। হালকা হিমেল বাতাস ভালই লাগছে বঙ্গবাসীর। আর পারদ নামতে শুরু করেছে। এই আবহে পরিকল্পনা শুরু হয়েছে পর্যটকদের। তাঁরা পাড়ি দিতে চান উত্তরবঙ্গে। শৈলশহরের আনাচে–কানাচে ঘুরে বেড়াতে চান বেশিরভাগ পর্যটকরা। এমন পরিস্থিতিতে শীতের প্রাক্ক🐼ালে পর্যটকদের জন্য সুখবর বয়ে এল। এবার রবিবার থেকে আবার নিউ জলপাইগুড়ি–দার্জিলিং টয়ট্রেন পরিষেবা শুরু হতে চলেছে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে এই খবর দিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই খবর সব স্টেশন মাস্টারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।
পাহাড়ে বারবার ধস নামায় এই পরি🎶ষেবা বন্ধ ছিল। কিন্তু শীতে পাহাড়ে খুব একটা ধস নামে না। যেটা বড় আকার নেয় বর্ষাকালে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার পাহাড়ের বুক চিরে চা–বাগানের নৈসর্গিক দৃশ্য চোখে মেখে আঁকা–বাঁকা পথ বেয়ে পৌঁছে যাবেন দার্জিলিংয়ে। প্রায় সাড়ে তিন মাস ছোটেনি টয় ট্রেন। ধসের জেরে লাইন মেরামত করতে কেটে গিয়েছে এতগুলি মাস। তবে সমস্যা কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। তাই এবার রবিবার থেকে পাহাড়ের রাস্তায় ছুটবে টয় ট্রেন। এখন ট্রায়াল রানও হয়ে গিয়েছে। রেল কর্তারা সব পরীক্ষা করে ক্লিনচিট দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কোর কমিটির বৈঠকে কেষ্ট–কাজল মুখোমুখি! অভিজিৎ সিনহার নাম ভাসালেন মুখ্যমন্ত্রী
সদ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ে ঘুরে এসেছেন। সেখানে সকলে ভাল থাক এই বার্তাই দিয়েছেন। তারপরই চালু হতে চলেছে নস্টালজিক টয়ট্রেন। এটা কাকতালীয় হলেও পর্যটকদের জন্য সুখবর। টয় ট্রেন পরিষেবা পাহাড়ে কখনও এতদিন বন্ধ থাকেনি। এই বিষয়ে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ডিরেক্টর প্রিয়াংশু বলেন, ‘রবিবার থেকে পুনরায় টয় ট্রেন পরিষেবা চালু হচ্ছে।’ অক্টো♍বর মাসেই ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি রেলকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছিল। তারপরেই নড়েচড়ে বসে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। তখনই যেখানে লাইন ধসে গিয়েছিল সেই এলাকাগুলিতে রেলবোর্ডের প্রতিনিধি দল এবং ইউনেসকোর প্রতিনিধিদল পরিদর্শনে যায়।