‘সরকার ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কালিমালিপ্ত ক﷽রার চেষ্টা চলছে।’ ডিএলএডের ফাইনাল পরীক্ষার প্রথম দিনেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে এমনই দাবি করলেন পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। সেইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, সব প্রার্থী কি প্রশ্ন জেনে🐲ই পরীক্ষা দিয়েছেন?
আজ বেলা ১২ টা থেকে ডিএলএডের ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়। তারইমধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিএ♍লএডের ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) ছড়িয়ে পড়ে। হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়া সেই প🐓্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রার্থীদের দেওয়ার প্রশ্নপত্রে মিল আছে বলে অভিযোগ করা হয়। অনেকে অভিযোগ করেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে আসল প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল আছে।
পর্ষদের প্রতিক্রিয়া
পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে নানারকম যুক্তি তুলে ধরেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। সার্বিকভাবে🔯 পর্ষদের দায় ঝেড়ে ফেলার জন্য একাধিক যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করেন। যে পর্ষদ নিয়োগ দুর্নীতি বিতর্কে জর্জরিত হয়ে আছ। পরীক্ষা শুরুর আগে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে তা আদতে 🌊কারও ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ কারণে হয়েছে বলেও যুক্তি সাজানোর চেষ্টা করেন পর্ষদের সভাপতি।
আরও পড়ুন: Paresh Adhikary: ED অফিসে চারঘণ্টা কী করলেন পরেশ অধিকারী? মুখ খুললেন প্রাক্তন শিক্ষা প্ღরতিমন্ত্রী
সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘১৬০ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়েছে। আপনারা বলছেন যে সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে প্রশ্নপত্র বেরিয়েছে। এটা সব পরীক্ষার্থী জেনে পরীক্ষা দিয়েছে, সেই যুক্তি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। যদি দেখি অভিযোগ আসে.....আমি নিশ্চয়ই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছি। সেখানে যদি সত্যতা প্রমাণিত হয়, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি আশ্বস্ত করছি, যাঁরা পরীক্ষা♋র্থী, তাঁরা কখনওই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আগামিদিনে পর্ষদ যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, তা পরীক্ষার্থীদের স্বার্থেই নেবে।’
আরও পড়ুন: Primary Education: অপসারিত মা🍷নিক ভট্টাচার্য, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নয়া সভাপতি গৌতম পাল
পর্ষদের সভাপতি আরও বলেন, 'সব পরীক্ষার্থী প্রশ্ন জেনে গিয়েছেন এবং পরীক্ষা দিতে গিয়েছেন - এই যুক্তি তো মেনে নিতে পারছি না। পরীক্ষার কাজে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের নিষ্ঠা-সততার উপর নির্ভর কর💜ে এই পুরো প্রক্রিয়া। পরীক্ষাকেন্দ্রের কেউ যদি কখনও অনৈতিক কাজ করেন, (তাহলে সমস্যা।) আমি বলব, সরকার ও প꧒্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। স্বচ্ছভাবে যে পরীক্ষা করার চেষ্টা করছি, সেটায় পিছু টেনে ধরছে।' সঙ্গে তিনি বলেন, ‘৪৬,০০০ পরীক্ষার্থীর সকলেই কি প্রশ্ন জেনে পরীক্ষা দিয়েছেন? আমি এটা লিকিংয়ের (প্রশ্নপত্র ফাঁস) ঘটনা বলব না, এটা বিশ্বাসঘাতকতা বলব।’