কলকাতায় এসেছিলেন অনুষ্ঠান🗹ে গান গাইতে। গান গাইলেনও। তবে সফর শেষে নিজের প্রিয়জনদের কাছে আর ফিরে যেতে পারলেন জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নথ ওরফে কেকে। আর এই জনপ্রিয় গায়কের মৃত্যু নিয়েই জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে। আর এরই মাঝে কেকে-র মৃত্যু নিয়ে দলীয় সভায় মন্তব্য করে বিতর্ক উসকে দিলেন দিলীপ ঘোষ। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় দিলীপবাবু বলেন, ‘বদ্ধ অডিটরিয়ামে আটকে কেকে-কে মেরে ফেলা হয়েছে।🌊’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দিলীপ ঘোষকে চুপ থাকতে বলে চিঠি দেওয়া ꦉহয়েছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে। তবে দলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি সেই চিঠির জবাব দেবেন না বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি এই ‘নিষেধাজ্ঞা’র তোয়াক্কা করেন না বলেও বুঝিয়ে দিয়েছেন স্পষ্ট ভাষায়। এই আবহে গতকাল বিকেল চারটের সময় তেহট্টের জিতপুর মোড়ে জনসভায় অংশগ্রহণ করেন দিলীপবাবু। সভায় দাবি জানানো হয়, তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার গ্রেফতারি ও প্রাইমারি শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে অব🌌িলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
সেই সভাতে দাঁড়িয়েই দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘অমিত শাহজি অনেক আগেই 🌳আমাকে বলেছিলেন, বাংলায় এলে মরতে হবে। কাকতালীয় ভাবে সেটাই সত্যি হল। অন্ধকূপে হত্যার মতো বদ্ধ অডিটরিয়ামে আটকে কেকে-কে মেরে ফেলা হয়েছে।’
এদিকে সঙ্গীতশিল্পী কেকে-র মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘কেকে-র মৃত্যু খুব উ💟দ্বেগজনক ঘটনা। আমরা জানতে পারছি, সেখানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দু’টি গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়েছিল সেদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা দেখতে পাচ্ছি সেখানে ফায়ার এক্সটিংগুইশার খুলে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে শ্বাসরোধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এই মৃত্যুর তদন্ত হওয়া উচিত। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ও তার প্রশাসন এই মৃত্যুর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রীর খুব পছন্দের এই নজরুল মঞ্চ। সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠান তিনি এই নজরুল মঞ্চে করেন💝। সেই জায়গায় এরকম অব্যবস্থা হল কেন? সাত হাজার লোক না কি সেখানে ঢুকেছিল। অত লোক ওখানে ঢোকার কথা না। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক ব্যর্থতা। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’