প্রতিদিনকার মতোই যাত্রী বোঝাই বাস চালিয়ে যাচ্ছিলেন চালক। সেই সময় ঘটল বিপত্তি। চলন্ত বাসের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন চালক। হাত তখন স্টিয়ারিংয়ে থাকলেও পা ব্রেকে ছিল না। ঘটনার জেরে রাস্তার পাশে থাকা একটি দোকানের ভিতর ঢুকে গেল বাস। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে কেউ নিহত বা আহত হননি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র🥃 করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
আরও পড়ুন: জাতীয় সড়কে উলটে গেল কলকাতাগামী বাস! কাটা পড়ল পা, আহ🍸ত অনেকে, ঘুমোচ্ছিলেন চালক?
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, রামনগরের রাস্তায় বাসটি টার্ন নেওয়ার পরেই প্রথমে একটি মোটর বাইককে ধাক্কা মারে। তারপরে বাসটি ধ🌊ীরে ধীরে রাস্তা ধরে এগিয়ে যেতে শুরু করে। এরপর রাস্তার পাশে থাকা বেশ কয়েকটি দোকানে ধাক্কা মারে বাসটি। তখন দেখা যায় চালক বাসের মধ্যে অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। জানা যাচ্ছে, মেদিনীপুর থেকে দীঘা যাচ্ছিল বাসটি। রামনগরে পৌঁছনোর পরেই বাসস্ট্যান্ডের ঠিক কাছেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও এর ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। কারণ বাসে যাত্রী বোঝায় ছিল। তাছাড়া, রাস্তার আশেপাশে অনেক লোকজন ছিলেন, দোকানেও ছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে বরাত জোরে তারা রক্ষা পেয়েছেন। কোনও যাত্রী বা বাসের বাইরে রাস্তায় কোনও ব্যক্তি আহত হননি। শুধুমাত্র ফুটপাতের পাশে কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, তীব্র গরমের কারণে চালক অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। চিকি🌠ৎসার জন্য তাকে উদ্ধার করে হাসপাতা෴লে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ যানজট তৈরি হয় ওই রাস্তায়। পরে পুলিশ এসে বাসটি সরিয়ে দিলে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রসঙ্গত, রামনগরে একটি বড় বাস স্ট্যান্ড তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। এর জন্য পঞ্চায়েতের তরফে ডিপিআর-ও তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেউ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জমি পরিদর্শন হয়েছে। জানা যাচ্ছে, বড় বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য ৫ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে। তবে কবে সেই বাস স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হবে? সেই অপেক্ষায় রয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। তবে বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে।