এবার বর্ষার মধ্যেই আবার জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল ডিভিসি। বৃহস্পতিবার থেকে এই জল ছাড়ার ঘটনা ঘটতে থাকে। তার জেরে ভেসে যাচ্ছে একাধিক এলাকা। প্লাবিত হয়ে পড়েছে গ্রামের পর গ্রাম। বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেটরি কমিটির নির্দেশে মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে ৩৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। কোনও পরিকল্পনা না করেই এমনভাবে জল ছাড়াꦰয় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। তাই কমলা সতর্কতা জারি করেছে দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেটরি কমিটি। এখন মানুষের জীবন–জীবিকা প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আবার ব্যাপক পরিমাণে জল ছাড়ার জেরে পরিস্থিতি জটিল হয়েছে। নতুন করে নিম্ন দামোদর অববাহিকায় প্লাবনের আশঙ্কা দ🍌েখা দিয়েছে। দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেটরি কমিটির সদস্য সচিব শশী রাকেশ পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সরকারকে এই বিষয়ে লিখিত বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। সেখানে জল ছাড়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। তারপর ৩৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়ায় গ্রামে জল ঢুকে পড়েছে। এই জল ছাড়ার পরিমাণ আগামী ৬ ঘণ্টায় বেড়ে ৫০ হাজার কিউসেক হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন শশী রাকেশ। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জল ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: গলগল করে ধোঁয়া বেরিয়ে থমকে গেল ট্রেন, হাওড়া থেকে তারকেশ্বর যেতে তুমুল ভোগান্তি
দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেটরি কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উচ্চ দামোদর অববাহিকায় নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় 🐓পাঞ্চেত জলাধারে বেশি মাত্রায় জল ঢুকছে। আর তেনুঘাটের ইঞ্জিনিয়ার অভিষেক কুমার জানান, বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার সেখানেও অতিরিক্ত জল এসে পড়েছে। তাই সেখান থেকে তেনুঘাটের আরও দꦿু’টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসে ডিভিসির ছাড়া জলে পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলির প্লাবিত হয়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা না করে জল ছাড়ায় বারবার ক্ষতির মুখে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ।