চা বাগানের নালায় পড়ে এক হাতি শাবকের মৃত্যু হল। সন্তান হারিয়ে কার্যত ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকায় তাণ্ডব💝 চালিয়ে বেড়াল মা হাতি। খবর পেয়ে সেখানে বন দফতরের কর্মীরা গাড়িতে করে পৌঁছলে তাদের উপরেও হামলা চালায় হাতি। কোনওরকমভাবে গাড়ি থেকে ঝাঁপিয়ে প্রাণে বাঁচেন বন কর্মীরা। ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাড়িটি। বন দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, মৃত শবকের ধারে কাছে যেতে দিচ্ছে না হাতিটি। যার ফলে শাবককে শনিবার রাত পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ঘটনাটি ঘটে🏅ছে ডুয়ার্সের বানাহাট ব্লকের কারবালা চা বাগানে।
আরও পড়ুন: ছুটিতে বন𝄹্⛎ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে হাতির হানা, বাগডোগরায় মৃত্যু হল সেনা জওয়ানের
জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে একটি হাতির দল পৌঁছয় চা বাগান এলাকায়। সেখানে কোনওভাবে চা বাগানের ১৫ নম্বর ব্লকের ১২৪ নম্বর সেকশনের ওই নালায় হাতি শাবকটি পড়ে যায়। এরপর মৃত্যু হয় শাবকের। সন্তান হারানোর পরেই কার্যত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মা হাতি। তখন এলাকায় তাণ্ডব চালাতে শুরু করে হাতিটি। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াড। তারা শাবকটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করলেই ঘটে বিপত্তি। তাদের উপরেও হামলা চালায় হাতি।
জানা গিয়েছে, বন দফতরের কর্মীদের গাড়ি দেখে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে হাতি। তখন পশুটি তাদের দিকে তেড়ে আসে। ত🐟বে সেই সময় বনকর্মীরা গাড়ি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লে ক🍨োনওভাবে তারা প্রাণে বাঁচেন। চা বাগান সূত্রের খবর, এদিন সকালে হাতির চিৎকার শুনে সেখানে ছুটে যান চা শ্রমিকরা। তারা হাতিটিকে বারবার এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। আর সেইসঙ্গে বারবার হাতিটিকে তারা নালার দিকে ছুটে যেতে দেখেন। এরপর কোনওভাবে চা শ্রমিকদের একটি দল সেখানে এগিয়ে যেতেই দেখেন নালার মধ্যে অর্ধেক মাটি চাপা অবস্থায় পড়ে রয়েছে শাবকটি। এরপর খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। চা বাগানের এক শ্রমিক জানান, বিষয়টি জানতে পেরেই বন দফতরকে খবর দেওয়া হয়। বন দফতরের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ক্ষিপ্ত তাদের ওপর গাড়ির উপর হামলা চালায়। চা বাগানের সকলে হাতির এমন আচরণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের খয়েরবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। আশেপাশের গ্রাম থেকে বহু মানুষ হাতি দেখ🎃তে ভিড় করেন। পরে খবর পেয়ে সেখানে বন দফতরের কর্মীরা এসে হাতির মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।