ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। এবং সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা বিক্ষিপ্ত নয়, বরং পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এই হিংসা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয় রিপোর্টে। সংগঠিত এবং ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই হামলাগুলি চালানো হয় বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। উল্লেখ্য, এই তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছিল একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন সিক্কিম হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি প্রমোদ কোহলি।এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে আরও রয়েছেন কেরলের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আনন্দ বসু, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন ডিজিপি নির্মল কউর, ICSI-এর প্রাক্তন সভাপতি নিসার আহমেদ এবং কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যসচিব এম মদন গোপাল। এই প্রাক্তন আধিকারিকরা পশ্চিমবঙ্গের হিংসা নিয়ে তাঁদের রিপোর্ট জমা দেন কেন্দ্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি।রিপোর্টে এনআইএ তদন্তের সুপারিশ করে লেখা, 'পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ভাগ করে। এথানে তাই অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা ঝুঁকির মুখে। দেশের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতাও ঝুঁকির মুখে। সীমান্ত পার সন্ত্রাসবাদ এবং কট্টরপন্থীদের এই হিংসায় কতটা হাত রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা উচিত। এই হিংসার ঘটনার জেরে জনজাতি ভিত্ত্বিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া গত কয়েক দশকে সীমান্তের কাছের এলাকাগুলিতে জনজাতি ভিত্ত্বিক বদল ঘটেছে ব্যাপক হারে। এর জেরে এলাকায় হিংসা এবং বেআইনি কার্যকলাপ বেড়েছে।'এদিকে রিপোর্টে বলা হয়, নির্যাতিতরা খুবই ভীত ছিলেন। যাঁরা সাহস করে পুলিশের কাছে গিয়েছে, তাঁদেরকে পুলিশ ফিরিয়ে দিয়েছে। অনেকেই তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি, ঘর, গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। রাজ্যের বাইরে গিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন তাঁরা।