গত সোমবার সকালে অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার সময় শিলিগুড়ির কাছে জাটিয়াকালিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নদিয়ার দুই লোকশিল্পীর। যার মধ্যে একজনের নাম বিশ্বনাথ দাস এবং অপর জনের নাম কৃষ্ণ বিশ্বাস। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার তাদের দেহ নদিয়ার বাড়িতে ফেরানো হয়🗹। ওইদিনই প্রশাসনের উদ্যোগে তাদের দেহ সৎকার সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে বিশ্বনাথের বাড়ি চাকদা পুরসভা এলাকায় এবং কৃষ্ণ বিশ্বাসের বাড়ি রানাঘাটের পায়রাডাঙ্গায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিশ্বনাথ দাস শুধুমাত্র লোকশিল্পী ছিলেন না, তিনি করোনার সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বহু মানুষের উপকার করেছেন। সেই সুবাদে এলাকার মানুষদের কাছে ভালোবাসার পাত্র ছিলেন এই বিশ্বনাথ দাস। এদিন তাকে বাড়ি ফেরানো হলে তাঁকে দেখতে ভিড় জমে মানুষের। অনেকেই তাঁর মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি। কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় বহু মানুষকে। জানা গিয়েছে, বিশ্বনাথের মা-বাবা আগেই মারা গিয়েছেন। তিনি চাকদা পুরসভার সিআইসি মৌমিতা ভট্টাচার্যের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাড়িতে থাকতেন। মৌমিতা বলেন, ‘প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো𝓰র পরেই তাদের মৃতদেহ নিয়ে আসা হয়। দুজনের দেহ সৎকার হয়েছে।’
উল্লেখ্য, করোনার বাড়বাড়ন্তের সময় কোনও মৃত্যু হলে বাড়িতেই পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। সেই সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে গ𝕴িয়ে সৎকার করিয়েছিলেন বিশ্বনাথ। শুধু তাই নয়, পিঠে মেশিন নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করেছিলেন তিনি। এছাড়াও, করোনা আক্রান্তদের ওষুধ এবং খাবার সরবরাহ করেছেন। চাকদহ করোনা ভলেন্টিয়ার্সের কর্ণধার সৌমিত্র ভট্টাচার্য জানান, ‘করোনার বাড়বাড়ন্তের সময় মানুষের সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসেনি। তখন আমরা এগিয়ে এসেছিলাম। তার মধ্যে একজন ছিলেন বিশ্বনাথ।’ সব মিলিয়ে পরোপকারী এরকম এক মানুষের মৃত্যুতে ꧃শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা।