‘বাতাসে বাতিঘর’। বিষয়টি অবাক করার মতো শোনালেও দেশের একমাত্র রাজ্য বাংলা তা পেয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলায় এই বিষয়টি দেখা গিয়েছে। যাকে ইংরেজিতে বলা হচ্ছে, লাইটহাউস অন এয়ার। সমুদ্র তথা সাগরের দূরবর্তী স্থানে যোগা💛যোগ স্থাপন করে এই বাতাসে বাতিঘর। বঙ্গোপসাগরে যেসব জাহাজ যায় তাদের সঙ্গে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযাগ স্থাপন করা যায় এই পদ্ধতিতেই। লাইটহাউস বিষয়টি জানলে এই গোটা বিষয়টি বোঝা সম্ভব। লাইটহাউস বিষয়টি হল, একটা কোনও যন্ত্রের সাহায্য আলো বেরিয়ে ল্যাম্প অথবা লেন্সে পড়ে। এটাই যখন বাতাসে নিক্ষেপ করা হচ্ছে তখন বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে আলোকবর্তিকায় পরিণত হবে। অর্থাৎ একাধিক তরঙ্গ ছড়িয়ে পড়ে জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে।
এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় এই বিষয়টি দেখা গিয়েছে। যা অত্যন্ত অভিনব এবং প্রযুক্তি নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এই বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে অন্য দেশের অপারেটরদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাবে। এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ রেডি꧋ও ক্লাবের প্রতিঠ🌳াতা অম্বরীশ নাগ বিশ্বাস বলেন, ‘এটাই প্রথম লাইটহাউস অন এয়ার ভারতে যা নির্দিষ্ট নির্দেশে ভারত সরকার বসিয়েছে। এটা উপযুক্ত প্যারামিটার দিয়ে দেখভাল করা হবে।’ এই লাইটহাউস অন এয়ার ধারণাটি অ্যামেচার রেডিও অপারেটরদের বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে লাইটহাউস এবং লাইটশিপে যোগাযোগ রক্ষা করা যায়।
এদিকে এই অ্যামেচার রেডিও অপারেটরদের মাধ্যমে বাংলায় লাইহাউসগুলি এবং লাইটশিপগুলির ডিরেক্টর জেনারেলের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তারপর তা গঙ্গাসাগর🅷ে যুক্ত করা হয়। অনুমতি মেলার পর তা কার্যকর করা হয়। হ্যাম রেডিও সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিও করে এবং উপগ্রহের যুগে এগুলি লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বলে উদ্যোগ নেওয়া হয়ে🎃ছে। ৮৫ ফিট উচ্চতায় এই লাইটহাউস অন এয়ার গড়ে তোলা হয়েছে। গঙ্গাসাগর থেকে জাহাজগুলি মূলত যায়—চিন, সিঙ্গাপুর, মায়ানমার, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কায়। যোগাযোগের জন্য এটা উত্তম মাধ্যম।
আরও পড়ুন: কলকাতা হাইকোর্টে ব𝔉াংলায় শুনানির সিদ্ধান্ত, জানিয়ে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
অন্যদিকে অনেক জাহাজ মাঝসমুদ্রে গিয়ে বিপদে পড়ে। তখন এই বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে। অম্বরীশ নাগ বিশ্বাসের কথায়, ‘সরকার এজেন্সির মাধ্যমে এই কাজটি করবে। বেতার তরঙ্গ কাজে লাগিয়ে সুবিধা দেবে জাহাজগুলিকে। ব্যবহারের উপর সরলীকরণ করা হবে। যাতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে অসুবিধা না হয়। দুই দেশের মধ🔜্যে বার্তা পাঠাতেও এটা কাজে লাগবে।’ গঙ্গাসাগরে এটা দেখে অনেকেই বুঝতে পারেনি।