শিল্পনগরী হলদিয়া বন্দরে এখন তুমুল অশান্তি চলছে। তার জেরে এখানে কাজকর্ম লাটে উঠেছে। হলদিয়া বন্দরের শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। কাজ বন্ধ রেখে সেখানে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই শ্রমিকরা বি💛ক্ষোভে সামিল হওয়ায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বন্দরে। এই ঘটনা এখন জেলাজুড়ে চাউর হয়ে গিয়েছে। এই খবর চাউর হওয়ার কারণ হল, শ্রমিকদের বিক্ষোভের জেরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে হলদিয়া বন্দরে। শুধু তাই নয়, হলদিয়া বন্দরে কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের একটি সংস্থার বিরুদ্ধে শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। আর এটা যদি চলতে থাকে তাহলে মারাত্মক আকার নেবে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? হলদিয়া বন্দরের শ্রমিকদের অভিযোগ, তাঁদের বেতন থেকে পিএফ বাবদ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই টাকা কাটার কথা আগাম জানানো হয়নি। তাছাড়া এই টাকা কাটা হলেও কোনও নোটিশ জারি করা হয়নি। খোঁজ নিয়ে তথ্য মিলেছে এটা সম্পূর্ণ ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। যা উপর থেকে শ্রমিকদের চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকর🍌া সামান্য বেতন পান। সেখান থেকে পিএফ বাবদꦿ টাকা কাটলে সংসার চালাতে অনটনে পড়তে হবে। বেতন বাড়িয়ে কেন টাকা কাটা হল না? এই প্রশ্ন উঠছে। ঠিকাদার সংস্থাকে শোকজ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তারপর ঠিক কী হল? এই অভিযোগ তুলে হলদিয়া বন্দরের শ্রমিকরা মঙ্গলবার দুপুর থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে। হলদিয়া বন্দরের মধ্যে বিক্ষোভের জেরে শিল্প বিরোধী হাওয়া দেখা দিয়েছে। এই সংস্থার বেশিরভাগ শ্রমিকরাই জাহাজের পণ্য ওঠানো –নামানোর কাজ করে। তা থেকে যে টাকা রোজগার হয় তাতে তাঁদের সংসার চলে। সেটাও খুব টেনেটুনে। সেখানে না জানিয়ে, বেতন না বাড়িয়ে—এই🐎 পিএফ বাবদ টাকা কাটা শুরু হয়েছে বলে শ্রমিকদের অভিযোগ। হলদিয়া বন্দরের এই অচলাবস্থার জেরে বন্দরমুখী জাহাজকে ফিরিয়ে দিতে হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইহই পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কাকে রক্ষা করতে চাইছে বোর্ড?’ পর্ষদকে কড়া প্রশ্নের মুখে ফেললেন বিচাওরপতি অমৃতা সিনহা
আর কী জানা যাচ্ছে? হলদিয়া বন্দরের এই শ্রমিকদের বিক্ষোভ তো থামেইনি উলটে আ বেড়ে গিয়েছে বলে খবর। তা না হলে বন্দরমুখী জাহাজকে ফিরে যায়। এই অচলাবস্থা রাত পর্যন্ত কাটেনি। আজ, বুধবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ চরমে উঠেছে বলে অভিযোগ। বার্থে জাহাজ থেকে পন্য ওঠানো–নামানো এবং তা অন্যত্র পাঠানোর বরাত রয়েছে এক ঠিকাদার সংস্থার (রিপ্লে এন্ড কোম্পানি)। সেই সংস্থার অধীনে রয়েছে প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক। যাঁরা মূলত বন্দরের ভিতরের বিভিন্ন বার্থে এই কাজ করে থাকেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, তাঁদের পে স্লিপে পিএফের জন্য বেশি পরিমাণ টাকা কাটা হচ্ছে। আর বেসিক স্যালারি বেশি অঙ্কের দেখানো হচ্ছে। যদিও এই বিক্ষোভে ব্যাপক ক্ষুব্ধ বন্দর কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ রাজ্য প্রশাসনকে জানিয়েছে। কার্গো হ্যান্ডেলিং সংস্থার ডাম্পারের ড্রাইভার থেকে হেল্পার দুপুর থেকে কাজ বন্ধ রেখেছে। তবে পাল্টা রিপ্লে কো🌜ম্পানির দাবি, শ্রমিকদের এই অভিযোগ ঠিক নয়। শ্রম কমিশনের আইন অনুযায়ী, শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ পেনশন সুরক্ষিত করতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজকের এই শ্রমিক অসন্তোষের জেরে কার্যত ক্ষুব্ধ হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ।