বাড়ির সামনেই গৃহবধূর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহারে। স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল বধূর প্রথম স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। একইসঙ্গে মৃতের দ্বিতীয় স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে মৃতার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কীভাবে ওই বধূকে খুন করা হল তা জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপরেই ভরসা করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাটের জলঘর গ্রামের মোস্তাফাপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম শিপ্রা আইন সুরিন(২৭)।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মৃ্তের উপর বলপ্রয়োগ করা হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই পুরোটা জানা যাবে। ঘটনার তদন্তে নেমে স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগে শিপ্রার প্রথম স্বামী আলবানুস সুরিন ও তাঁর মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিপ্রার দ্বিতীয় স্বামী মৃদুল সরকারকেও আটক করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে স্বামীর সঙ্গে আত্মীয়ের বাড়ির ছাদে উঠেছিলেন ওই বধূ। পর দিন সকালে সেই বাড়ির নীচেই ওই বধূর অর্ধনগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখেন পড়শিরা।স্থানীয়দের বক্তব্য, স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই নেশা করতেন। ঘটনার রাতেও নেশা করেছিল তারা। তবে শিপ্রাকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে, নাকি তিনি নিজে ঝাঁপ মেরেছেন, তা স্পষ্ট নয় প্রতিবেশীদের কাছে। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দশ বছর আগে শিপ্রার সঙ্গে বিয়ে হয় বালুরঘাটের জলঘর গ্রামের মোস্তাফাপুরের বাসিন্দা আলবানুসের। দম্পতির দু’টি সন্তানও রয়েছে। কর্মসূত্রে পুনেতে থাকতেন আলবানুস। স্থানীয়দের অভিযোগ, আলবানুস বাইরে থাকার সময় এলাকার বাসিন্দা মৃদুল সরকারের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন শিপ্রা। এমনকী, স্বামীকে না জানিয়ে বছর খানেকের মধ্যে চুপিসারে বিয়েও সেরে ফেলেন দু’জনে। গত মঙ্গলবার পুণে থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন আলবানুস। এসে এই সম্পর্কের বিষয় জানতে পারেন। বুধবার স্ত্রীকে নিয়ে এক আত্মীয়ের ফাঁকা বাড়িতে যান আলবানুস। পরে সেখান থেকে উধাও হয়ে যায় সে। পরের দিন সকালে শিপ্রার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার করা হয়।