পঞ্চায়েত নির্বাচনের বোর্ড গঠন চলাকালীনও ঘটল খুনের ঘটনা। হাড়োয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। নিহত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নাম শেখ সাহেব আলি। হাড়োয়ার সামলার পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন শেখ সাহেব। আজ, রবিবার ভোরে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে লক্ষ্য় করে চলে মুহূর্মুহ গুলি। প্রায় আট রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।♏ এই ঘটনায় রাস্তায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বসিরহাটের হাড়োয়া থানার খাসবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের সামলা এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ রবিবার ভোরে অঞ্চল সভাপতির বাড়ি থেকে মোটরবাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন শেখ সাহেব আলি। সামলা বাজারে এলাকা꧂য় ঢুকতেই বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। টেনে নামানো হয় মোটরবাইক থেকে। কিন্তু আওয়াজ করতে পারেননি। কারণ গায়ে বন্দুক ঠেকানো ছিল। তারপর মাটিতে ফেলে পর পর গুলি করা হয় তাঁকে। পালাবার চেষ্টা করেন সাহেব আলি। কিন্তু গুলি লাগতেই ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সাহেব আলি। দুটি গুলি লাগে তাঁর মোটরবাইকেও। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেন হাড়ো𓆉য়া থানায়।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এখানে শনিবার প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন ছিলেন। সেই পদে দাবিদা𓃲র ছিলেন সাহেব আলি। কিন্তু তিনি জয়ী হতে পারেননি। তারপর ভোরে বাড়ি ফেরার পথে সামলাবাজার এলাকায় তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের দাবি, অন্তত পাঁচ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, আট রাউন্ড গুলি চলে। সাহেবকে রীতিমতো ঘিরে ধরে গুলি করা হয়। আর তারপর চম্পট দেয় আততায়ীরা বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় গ্রামবাসীরা বিক্ষোভও দেখান। তাতে তপ্ত হয় এলাকা।
আরও পড়ুন: ভাত–কাপড়ের দায়িত্ব ব♉িবাহবিচ্ছেদের পরও, প্রাক্তন স্ব🦩ামীকে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ব্যক্তির নাম শেখ সাহেব আলি। তিনি মোটরবাইকে করে ফেরার ▨সময় একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। গুলি লেগেছে তাঁর গায়ে এবং মোটরবাইকে। তখন রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে প🍰ৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হল? তার উত্তর খোঁজা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এই খুনের পিছনে রয়েছে রাজনীতিই। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হচ্ছে তাঁর দলের লোকজনকে।