মালদার কালিয়াচকে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত শিশু কেমন আছে? তার খোঁজখবর নিল স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল। শুক্রবার শিশুর বাড়িতে প্রতিনিধি দল পৌঁছয়। এই প্রতিনিধি ছিলেন চিকিৎসক দী𓂃পঙ্কর মাঝি, দীনেশ বিশ্বাস প্রমুখ। এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। এই মুহূর্তে শ্বাস কষ্টের সমস্যা হচ্ছে শিশুটির। তাকে প্রতিদিন অক্সিজেন সরবরাহের প্রয়োজন হচ্ছে। কিন্তু, শিশুর পরিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলে। তার পরেই এদিন বিকেলে শিশুর অক্সিজেনের চাহিদা মেটানোর জন্য ব্লক হাসপাতালের পক্ষ থেকে অ✨ক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মেশিন তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বার্ড ফ্লু আতঙ্ক পশ্চিম🌠বঙ্গে, শিশুর শরীরে মিলল H9N2 ভাইরাস, জানাল WHO
এদিন শিশুর স্বাস্থের খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি তার বাড়ির আশেপাশে হাঁস মুরগি পালন হয়ে থাকে কিনা, বিশেষ করে সংক্রমণের কারণ খোঁজার চেষ্টা করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। জানা যাচ্ছে, এদিন সকালে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল প্রথমে কালিয়াচকের সিমলাপুর গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছয়। তারা হাসপাতালে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বার্ড ফ্লু সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালকে সতর্ক করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দ🌳েন। পাশাপাশি কীভাবে চিকিৎসা করতে হবে? সেই বিষয়ে তারা পরামর্শ দেন।
এরপর প্রতিনিধি দল শিশুর বাড়ি পৌঁছয়। সেখানে তারা খতিয়ে দেখেন, যে আশেপাশে কোথাও হাঁস মুরগি পালন হয়ে থাকে কিনা। কারণ বার্ড ফ্লু সাধারণত পশুপাখির মাধ্যমেই ছড়িয়ে থাকে। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা জানতে পেরেছেন, যে শিশুর বাড়ির আশেপাশে কোনও হাঁস মুরগির খামার নেই। এমনকী তার বাড়িতেও হাঁস মুরগি পালন করা হয় না। এই অবস্থায় কীভাবে শিশুটি বার্ড ফ্লুতে সংক্রমিত হয়েছিল? তার উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না আধিকারিকরা। যদিও শিশুটি আক্রান্ত হয়েছিল মাস চারেক আগে। তবে ভꦛবিষ্যতে যাতে বার্ড ফ্লু মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তার জন্য কারণ খুঁজতে তৎপর হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
এছাড়া, শিশু পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সেখানে শিশুর পরিবার অক্সিজেনের যোগান নিয়ে সমস্যার কথা জানান। তবে মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি জানান, সিমলাপুর গ্রামীণ হাসপাতাল এবং মালদা মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে ছেলেটিকে অক্সিজেন সরবরাহ করা যেতে পারে। তিনি জানান, পরিবারকে সব রকমভাবে সাহায্য করা হচ্ছে। যদিও শিশুর বাবা নিজের আর্থিক সমস্যার কথা প্রতিনিধিদলকে জানান। এরপর বিকেলে শিশুর পরিবারকে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মেশিন তুলে দেওয়া হয়। তাতে খুশি শিশুর পরিবার।