সাধারণত বড় কোনও হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পর এলাকার হাসপাতালে গিয়ে টেস্ট করানোর সময় তীব্র হয়রানির শিকার হতে হয় রোগী এবং রোগীর পরিবারকে। মানুষের সেই সমস্যা দূর করতে এক এবং অﷺভিন্ন আউটডোর নেটওয়ার্ক চালুর পরিকল্পনা করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। এই পরিকল্পনায় সমস্ত সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে একই ছাতার তলায় আনা হবে। এখন যে কোনও হাসপাতালের আউটডোরে টিকিট কাটলে রোগ বা টেস্ট করানোর জন্য অন্য কোনও হাসপাতালে আর টিকিট কাটতে হবে না। টিকিটে থাকা বিশেষ নম্বর খতিয়ে দেখে স্থানীয় হাসপাতালে বিনামূল্যে রক্ত এবং অন্যান্য পরীক্ষা করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালেই ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত, হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা স্🎶বাস্থ্য দফতরের
কলকাতা ও জেলা সদরের মেডিক্যাল কলেজগুলি থেকে শুরু করে গ্রামীণ এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্র সহ কয়েক হাজার হাসপাতাল যুক্ত হবে এই নেটওয়ার্কে। এর ফলে বারবার লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না🐠 রোগী এবং রোগীর পরিবারকে। চলতি বছরে অভিন্ন আউটডোর প্রেসক্রিপশন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এর ফলে গ্রামীণ এলাকার মানুষদের সুবিধা হবে বলে মনে করছে চিকিৎসা মহল। এই প্রেসক্রিপশন চালু হলে চিকিৎসকদের হাতের লেখা বুঝতে না পারার যে সমস্যা রয়েছে তা থাকবে না বলে মনে করা ꦗহচ্ছে।
এছাড়া, স্বাস্থ্য দফতরের কম্পিউটার থেকেই ওই নম্বর দিয়ে রোগীর পূর্বের রোগের বিবরণও পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে রাজ্যে স্বাস্থ্যকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানান, ধীরে ধীরে ই-প্রেসক্রিপশন চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে মানুষের ভোগান্তি কমবে। তবে কিছু পরীক্ষা আছে, যেগুলি শুধুমাত্র বড় মেডিক্যাল কলেজে সম্ভব। ফলে এই পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়িত করা যাচ্ছে তা নির্ভর করছে জেলা মহকুমা এবং তার নিচের স্তরের হাসপাতালগুলির রোগ ও রক্ত পরীক্ষার কাঠামোর উপর। তবে বহু জেলা স্তরে বহু হাসপাতালেই এমআরআই, সিটি স্ক্যানের &♎nbsp;২৪ ঘণ্টা ব্যবস্থা রয়েছে। রাজ্যের ৩৯টি সরকারি হাসপাতালে এই ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে সে ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা হবে না বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর।