হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল এক স্বাস্থ্যকর্মীকে। এলাকার মহিলারা ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে জুতোর মালা পরিয়ে দেন। তাঁদের অভিযোগ, দুর্নীতিগ্রস্ত ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে কিছুতেই কাজে যোগ দিতে দেবেন না। শেষপর্যন্ত ওই স্বাস্থ্যকর্ময কাজে যোগ দিতে পারেননি। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কিছুদিন আগে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে বেনিয়মের অভিযোগে তিনজন স্বাস্থ্যকর্মীকে অন্য হাসপাতালে বদলি করা হয়। একজনকে পাঠানো হয় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে, একজনকে পাঠানো হয় নবদ্বীপে ও তৃতীয় জনকে পাঠানো হয় করিমপুরে। শনিবার বগুলা হাসপাতালে বদলি হওয়া কৌস্তব কুণ্ডু নামে স্বাস্থ্য কর্মী কাজে যোগ দিতে এলে এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ধরনের কর্মী কাজে যোগ দিলে রোগীরা স্বাস্থ্য পরিষেবা ঠিকমতো পাবেন না। হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের তরফে হাঁসখালি থানায় খবর দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর হাঁসখালি থানার পুলিশ ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে এই ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। বিক্ষোভের মুখে পড়ে এখনও ওই স্বাস্থ্যকর্মী এখনও কাজে যোগ দিতে পারেননি। এই প্রসঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপনকুমার দাস জানান, 'বগুলা হাসপাতালে যে ঘটনাটি ঘটেছে, সে বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি। কোনও স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকতেই পারে।' উল্লেখ্য, গত শুক্রবার জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের বাইরে কৌস্তব সহ তিন দুর্নীতিগ্রস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের বিরুদ্ধে কালো প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা সংগঠন। এই সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, বদলি কখনওই শাস্তি হতে পারে না। এই ধরনের কর্মীদের বরখাস্ত করতে হবে।