শীতের এখন শেষলগ্ন চলছে। তার মধ্যেই পড়েছে সরস্বতী পুজো। সুতরাং পরিবেশ এবং পরিস্থিতি দাবি করে খিচুড়ি ও ইলিশ মাছ ভাজার। এমন খাওয়া–দাওয়া সরস্বতী পুজোয় হয়েই থাকে। কিন্তু এখন ইলিশ মাছ পাওয়া নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় আছেন। বাঙালির প্রত্যেক মাসেই কিছু না কিছু উৎসব–পার্বণ লেগেই থাকে। সেখানে সরস্বত𒊎ী পুজো নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে বাড়তি উন্মাদনার বিষয়। সরস্বতী পুজো আসতে আর মাত্র দু’দিন। কিছু বাড়িতে নিরামিষ হলেও অনেকেই অবশ্য আমিষ খেতে পছন্দ করেন। আর তাই সরস্বতী পুজোর প্রাক্কালে এল সুখবর। কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীদের জালে উঠল ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।
এদিকে এই খবর চাউর হতেই বাজারের ব্যাগ হাতে অনেকেই খোঁজ করতে শুরু করেছেন ইলিশ ✃মাছের। এখন মুড়িগঙ্গা নদীর মোহনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠল। মৎস্যজীবীদের জালে রূপোলি ফসল উঠতেই ভাল ব্যবসা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ছোট নৌকা নিয়ে মুড়িগঙ্গা নদীতে জাল ফেলতেই ইলিশ মাছ ধরা পড়তে শুরু করে কাকদ্বীপে। মোহনার ঠিক কাছেই মিলছে ইলিশ মাছ। ঘোড়ামারা দ্বীপের সংলগ্ন জলে জাল ফেললেই উঠছে রূপোলি শস্য।
অন্যদিকে ইলিশ মাছের এমন সময়ে দেখা দেওয়ায় অনেকেই আশায় বুক বাঁধছেন। এই বিষয়ে সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। এখন নদীতে ইলিশের দেখা পাওয়া যায় না। তবে ইলিশ মাছ সময়ের ফেরে নিজেদের চরিত্র বদল করে। তাই আবার এখন নদী থেকে ইলিশ মিলছে।’ আর মৎস্যজীবীরা জানান, ইলিশ মাছ গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায়। নদীতে খুব একটা মেলে না। কিন্তু এখন ভাল সাইজের ইলিশ উঠছে জালে। এক কিলো ওজনের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। তাই খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ইলিশ বিকোচ্ছে ৬০০ টাকা কেজিতে। আর ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম মাছ বিক্রি 𓂃হচ্ছে ৮০০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ মিলছে ১২০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: ‘দেব আর দেবী ছাড়া তৃণমূলের গতি নেই’, পর🍷িকল্পনা ভꦏেস্তে যেতেই আক্রমণে দিলীপ
এছাড়া এই খবর এখন ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাজারে ইলিশ মাছ দেখা যাচ্ছে। আর তা কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন গৃহস্থরা। সরস্বতী পুজোর দিন যদি খিচুড়ির সঙ্গে পাতে ইলিশ মাছ ভাজা বা সরষে বাটা মেলে তাহলে তো কথাই নেই। এই আশায় এখন বাজারে চলছে জোর দরদাম। ইলিশের সময় ব꧙র্ষাকাল। তখন ভোজনরসিক মানুষ ইলিশে কামড় দিয়ে থাকেন। কিন্তু এখন বর্ষা আসার অনেক আগেই মাছের রাজা পেয়ে খুশি অনেকেই। তবে অসময়ের এই ইলিশ মাছ হাসি চওড়া করেছে ভোজনরসিকদের মুখে।