পায়ে আঘাত পেয়েছিল কিশোর। তাই অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। একবছর পর সেই পা নিয়ে হাঁটতে অসুবিধা হচ্ছিল। চিকিৎসকরা জানান, পায়ে বসানো প্লেট খুলে নিয়ে আবার অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু পরিবারটির কাছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছাড়া অন্য কোনও মেডিক্লেম পলিসি ছিল না। আর সংসারে অর্থেরও অভাব রয়েছে। তাহলে কেমন করে হবে কিশোরের অস🌄্ত্রোপচার? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে না পেয়েই চাপে পড়ে যাচ্ছিলেন পরিবার। কিন্তু ওইജ অস্ত্রোপচার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে করা যাচ্ছিল না। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের দ্বারস্থ হন ওই অসহায় পরিবার। তখন তাঁর চেষ্টায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সেই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয় চুঁচুড়ার বেসরকারি হাসপাতালে।
ছেলের সফল চিকিৎসা হওয়ায় খুশি হুগলির ওই পরিবারটি। পায়ের অস্ত্রোপচার হয়েছে চুঁচুড়ার ওই কিশোরেꦍর। ক্ষতিগ্রস্ত ওই পায়ে বসানো হয়েছে প্লেট। আগের প্লেট খুলে ফেলে অস্ত্রোপচার করা হল। চুঁচুড়ার দক্ষিণ নলডাঙ্গার বাসি🦹ন্দা সাগর কর্মকারের (১০) জীবনে একবছর আগে নেমে আসে পথ দুর্ঘটনা। মোটরবাইকের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়েছিল তার বাঁ–পা। তখন একবার চিকিৎসা হয়েছিল। কিন্তু সমস্যা আবার দেখা দিল। আর সেই চিকিৎসা হল চুঁচুড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে পায়ের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ও ক্ষতস্থানে বসানো হয়েছে প্লেট। পরিবারের পক্ষ থেকে এলাকার বিধায়ক এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কিশোরের পরিবার।
আরও পড়ুন: এবার দক্ষিণ কলকাতার বুকে টাকার পাহাড়ের হদিশ, ইডি গোনার মেশিন নিয়ে হাজির
আগের পায়ের প্লেট বের করতে কিশোর সাগর কর্মকারকে আবার নার্সিংহোমে নিয়ে যায় পরিবার। কিন্তু ওই নার্সিংহোম জানিয়ে দেয়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ওই অস্ত্রোপচারের জন্য কোনও আর্থিক সুবিধা নেই। আর এই অস্ত্রোপচার করতে অনেক টাকার ধাক্কা। সাগরের বাবা সামান্য দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালান। কোনওরকমে সংসার চলে কঠিন লড়াই করে। বেসরকারি নার্সিংহোমের বক্তব্য শুনে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। তখন তাঁরা চুঁচুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদারের দ্বারস্থ হন। এই বিষয়ে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘পর♍িবারটি আমার কাছে আসে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে অপারেশন হচ্ছিল না। আমি মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে চিঠি লিখলাম। সেখা💟ন থেকে চুঁচুড়ার নার্সিংহোমে চিঠি আসে। কিশোরের সফল অস্ত্রোপচার হয় মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ড থেকে।’