নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূল নেতা তথা হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূলি কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। তার পর থেকেই দলের ভিতরে ও বাইরে থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে মুখ খুলতে শুরু করেছেন সবাই। এবার গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে শান্তনুর বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিরোধীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর অভিযোগ উঠল। শান্তনুর গ্রেফতারির পর তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন হুগলি জেলা পরিষদের ৩৪ নম্বর আসনে বাম ও বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া ২ প্রার্থী। শান্তনুর অত্যাচারে কী ভাবে সপরিবারে বিনিদ্র রাত্রি কাটিয়েছেন তাঁরা তা জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।মুখ খুলল বিরোধীরা২০১৭-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে হুগলি জেলা পরিষদের ৩৪ নম্বর আসন থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন শান্তনু। ওই আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন বিজেপির সুনীল পাঁজা ও বামেদের তন্ময় জানা। কী ভাবে শান্তনুর দলবল তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করেছে তা জানিয়েছেন তাঁরা।আগ্নেয়াস্ত্র দেখানোর অভিযোগসুনীলবাবু বলেন, ‘প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের জন্য আমার ওপর চাপ দিতে শুরু করে শান্তনুর দলবল। তার পর আমার পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা শুরু হয়। শেষে কিছুতেই কাজ হচ্ছে না দেখে আমার বাড়ি এসে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে যায় শান্তনুর আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এর পর ভয় পেয়ে যায় আমার পরিবার। যার ফলে মনোনয়পত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য হই।’বাম প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুরওই আসনে সিপিএমের হয়ে মনোনয়ন পেশ করেছিলেন তন্ময় পাঁজা। তিনি বলেন, ‘মনোনয়ন পেশ করায় শান্তনুর দলবল আমার বাড়ি ভাঙচুর করেছিল। আমার পরিবারের সদস্যদেরও হেনস্থা করা হয়। ভয়ে বেশ কয়েকদিন বাড়ি থেকে বেরোতে পারতাম না। এমনকী যে ব্যক্তি আমার নাম প্রস্তাব করেছিলেন তাঁর বাড়িও ভাঙচুর হয়।’বলে রাখি, শান্তনুর গ্রেফতারির পর তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বলাগড়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতিও। তিনি বলেন, শান্তনুর জন্য এলাকায় রাজনীতি করতে পারতাম না। এলাকায় যুব তৃণমূলের দাপটে তৃণমূল বলে আর কিছু ছিল না। ওর গ্রেফতারিতে আগামী পঞ্চায়েত ভোটে আমাদের ফল ভালো হবে।