রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নার মধ্যস্থতায় অবশেষে জট কাটল। হুগলির কেশরাম রেয়ন কারখানার পর এবার খুলে গেল হাওড়া ডেল্টা জুট মিল। গত নভেম্বর মাস থেকে বন্ধ ছিল এই কারখানা। জানা গিয়েছে, আজ শনিবার সকালে সাসপেন্স অফ ওয়ার্ক নোটিশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে জুট মিল কর্তৃপক্ষ। বড়দিন এবং নববর্ষের উৎসবে পুনরায় কাজ শুরু হওয়ায় খুশি জুট মিলের শ্রমিকরা।দীর্ঘদিন ধরেই শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল হাওড়া ডেল্টা জুট মিলে। বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে গত নভেম্বর মাসে আচমকাই মিলের গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপরে মিল খোলার দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। বিষয়টি গড়ায় শ্রমমন্ত্রীর কাছে। মিল খোলার বিষয়ে তিনি দফায় দফায় শ্রমিক সংগঠন এবং মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। অবশেষে শুক্রবার মালিকপক্ষ এবং শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, 'আজ শনিবার থেকে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক নোটিশ তুলে নিয়েছে মালিকপক্ষ। আজ থেকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হবে। প্রোডাকশন শুরু হবে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে।'এই জুট মিলে প্রায় ৩২০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কাজ বন্ধ হওয়ায় অনিশ্চিয়তার মুখে পড়েছিলেন শ্রমিকরা। জানা যাচ্ছে, এই প্রথম নয় এর আগেও ২০১১ এবং ২০১৪ সালের ডেল্টা জুট মিল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শ্রমিকদের বিক্ষোভের জেরে সরকারের মধ্যস্থতায় অবশেষে পরে জুটমিল খুলতে বাধ্য হয়েছিল কতৃপক্ষ।সেই সময় মালিকপক্ষ শ্রমিকদের কাছ থেকে দৈনিক ১৫ থেকে ২৫ টাকা কেটে নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছিলে। সেই সময় সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও টাকা ফেরত না দেওয়ায় তখন তীব্র শ্রমিক অসন্তোষে কারখানা বন্ধ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে সেই সময় রাজ্যের তৎকালীন শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর মধ্যস্থতায় সমস্যার সমাধান হয়েছিল।উল্লেখ্য, বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে তীব্র শ্রমিক অসন্তোষের জেরে প্রায় ছয় মাস বন্ধ ছিল হুগলির কেশরাম রেয়ন কারখানা। সেক্ষেত্রেও শ্রমমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় চলতি সপ্তাহে ওই কারখানা খুলেতে চলেছে।