উত্তরবঙ্গ জুড়ে আয়কর ও ইডির হানা। একের পর এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে, অফিসে, কারখানা ঘিরে ফেলেছে ইডি, আয়কর দফতরের টিম। মালদা, শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ সহ উত্তরের বিভিন্ন জেলায় একেবারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন ইডির গোয়েন্দারা। একদিকে রায়গঞ্জে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে আয়কর হানা। অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ মৌসম বেনজির নুরের ঘনিষ্ঠ তথা কৃষ্ণ কল্যাণীর ব্যবসায়ীর অংশীদার বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা হেমন্ত শর্মার বাড়িতেও বুধবার সকালে হাজির হয় আয়কর দফতরের টিম।প্রথমদিকে মালদার হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী এলাকায় ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। পরবর্তীতে টিম মালদা শহরের সর্বমঙ্গলাপল্লির বাড়িতে হানা দেয়। কেন্দ্রী বাহিনী ঘিরে ফেলে দুটি বাড়িকেই। তবে এই ঘটনা নিয়ে আয়কর দফতরের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।এদিকে সূত্রের খবর, বিগতদিনে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন হেমন্ত শর্মা। পরবর্তীতে হেমন্ত শর্মাও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে চলে আসেন। এরপরই হেমন্ত শর্মার প্রতিপত্তি ক্রমশ বাড়তে থাকে বলে সূত্রের খবর। তার হিসাব বহির্ভূত কোথাও কোনও সম্পত্তি রয়েছে কি না তা জানতেই এবার আয়কর দফতরের হানা।তবে শুধু মালদাতেই নয়, শিলিগুড়ির সেভক রোডে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর অফিসে শুরু হয় আয়কর দফতরের তল্লাশি। অফিস সংলগ্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। আয়কর দফতরের দুজন আধিকারিক চলে যান অফিসের ভেতরে। সেখানে চলে তল্লাশি।সেই সঙ্গেই রায়গঞ্জে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপর শুরু হয় আয়কর তল্লাশি। একটা সময় দেখা যায় বিধায়ক এসে বারান্দা থেকে হাত নাড়ছেন। কলকাতাতেও কৃষ্ণ কল্যাণীর অফিসে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা।স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব নিয়েছেন, ওরা ভেতরে তল্লাশি চালাচ্ছে। সব ফোন বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে। সব ফোন কেড়ে নিয়েছে। সবাইকে বের করে দিয়েছে। আমাদের কার্যালয়ে কী করছে বুঝতে পারছি না। ওদের পুরো টিম কাজ করছে। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে বিধানসভায় হুমকি দিতেন এটা তারই ফলশ্রুতি। এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, আমার ফোন ব্যবহার করতেও বারণ করে দিয়েছে।সূত্রের খবর, আয় বহির্ভূত সম্পত্তি ও আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে এই তল্লাশি চলছে।