অস্থির পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ দেড় মাস বন্ধ থাকার পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত বুধবার রাত ১০টার দিকে ভারত থেকে রেলপথে কয়েক হাজার টন সামগ্রী রফতানি করা হয়েছে বাংলাদেশে। সূত্রের খবর, বাণিজ্য পুনরায় শুরুর প্রথম দিন দুটি চালানে ২ হাজার ৪৬০ টন জিপসাম সার এবং ৬১টি ট্রাক্টর বাংলাদেশে রফতানি করা হয়েছে। আর এই কয়েকদিনের মধ্য𝓀ে ভারত প্রতিবেশী দেশটিতে প্রায় ৪০ হাজার টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতানি করেছে। উল্লেখ্য, দুই দেশের মধ্যে এখনও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬০ টাকা কেজির কমে চাল নেই বাজারে, ܫসমাধানে ভারতের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে যে সমস্ত সামগ্রী রফতানি করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ফ্লাই অ্যাশ, ড্রাই অয়েল কেক, জিপসাম, পাথর এবং প্রাকৃতিক গ্যাস। তবে চাল, গম ও চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গত দুই সপ্তাহে ভারতের তিনটি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১৬টি রেক বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। সর্বাধিক সাতটি রেক প্রতিবেশী দেশে ড্রাই অয়েল কেক নিয়ে যায়। এছাড়া, চারটি রেকে করে ফ্লাই অ্যাশ নিয়ে যাওয়া হয়, যা সি𒀰মেন্ট উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই ফ্লাই অ্যাশ দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এছাড়া, তিনটি রেকে করে প্রাকৃতিক গ্যাস ন🌜িয়ে যাওয়া হয়। একটিতে করে জিপসাম ও পাথর পরিবহণ করা হয়।
জানা গিয়েছে, দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকদের মধ্যে আলোচনার পর ৪৭ দিনের ব্যবধানে বাণিজ্য পুনরায় শুরু হয়। গত ১২ অগস্ট বাংলাদেশের রেল কর্তৃপক্ষ মালবাহী এবং যাত্রীবাহী ট্রেন উভয় পরিষেবা পুনরায় চালু করার জন্য ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছিল।উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ২০২১ সালে ভারত ১৪ বিলিয়ন ডলারের সামগ্রী রফতানি করেছিল। তবে ২০২২ সালে তা কমে ১৩.৮ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৩ সালে ১১.৩ বিলিয়ন ডলার সামগ্রী রফতানি করেছি🐎ল। তবে এবছর বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্🧸র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়। তারফলে যাত্রীবাহী ট্রেনের পাশাপাশি দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যও বন্ধ হয়ে যায়।