রামনবমীর সন্ধ্যা থেকে অশান্তি শুরু হয়েছে হাওড়ায়। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দফায় দফায় বেঁধেছে সংঘর্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হলেও পরিস্থিতি থমথমে। এই আবহে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে যাতে নতুন করে অশান্তি না দেখা দেয়, এর জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় হাওড়া জেলা প্রশাসন। শুক্রবার রাত দুটো (ইংরেজি মতে শনিবার ভোর ২টো) পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল হাওড়ার শিবপুর, বি গার্ডেন, সাঁতরাগাছি, সালকিয়া, জগাছা থানা, দাসনগর, মালি পাঁচঘড়া এলাকায়। এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করে এমটিএস, ভোডাফোন, রিলায়েন্স জিও, আইডিয়া, টাটা স্কাই, ডিশ টিভি, ভারতী এয়ারটেল, টাটা টেলি সার্ভিসেস, অ্যালায়েন্স ব্রডব্যান্ড, ডিজি কেবল, মন্থন ব্রডব্যান্ড সার্ভিসেস, হাথওয়ে কেবল এবং ডাটাকম, সিটি কেবল এবং অন্য ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। (আরও পড়ুন: আজ থꦇেকে রাজ্যে শুরু๊ হচ্ছে দুয়ারে সরকার, আবেদন জানানো যাবে ৪টি নয়া প্রকল্পে)
প্রশাসনের যুক্তি, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও ভুয়ো খবর সাধারণ মানুষের আবেগে আঘাত হানতে পারে। এর জেরে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। এই আবহে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। তবে এর জেরে ফোন কল বা এসএমএস পাঠাতে সমস্যায় পড়েননি সাধারণ মানুষ। এদিকে শিবপুরের ঘটনায় তদন্তভার গ্রহণ করল সিআইডি। সূত্রের খবর, সিআইডির স্পেশাল অপারেশন গ্রুপꦡ সহ বি💯ভিন্ন শাখা তদন্তে যুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: দাম কমল রা🌃ন্নার গ্যাসের, দেখে নিন আজ থেকে LPG সিলিন্ড🌳ারের নয়া রেট
প্রসঙ্গত, শুক্রবারও শিবপুর থানার বিভিন্ন এলাক𒆙ায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। কাজিপাড়া, ফজিরবাজার, কুণ্ডলবাগান থেকে রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা। তাণ্ডব চালায় গোটা এলাকা জুড়ে। ♏তারপরই জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। এই আবহে গভীর গতকাল রাত পর্যন্ত এই এলাকায় মোতায়েন ছিল কলকাতা ও হাওড়া পুলিশের বিশাল বাহিনী। এদিকে কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি এলাকায় সিআরপি মোতায়েনেরও দাবি তুলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর এই মামলা গৃহীত হয়েছে উচ্চ আদালতে।
এদিকে হাওড়ার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। শাসক ও বিরোধী পক্ষ একে অন্যকে আক্রমণ করেছে। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপির দিকে। অপরদিকে ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এই ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন অমিত শাহ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এদিকে এই ঘটনায় বিজেপি দায়ী করেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়ে স🦄াম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করেছে। আর বামেরা এই গোটা পরিস্থিতিতে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলকে।