কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে গত কয়েকদিন ধরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এবার ভুয়ো খবর রুখতে কালিয়াগঞ্জের বেশ কিছু অংশে ইন্টারনেট পরিষেবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। আগামী ৩০ এপ্রিল সকাল ৮ টা পর্যন্ত সেখানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে🅘 রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, বিহার থেকে লোকজন আনা হয়েছিল। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নাবালিকাকে ধর্ষণ কর𓃲ে খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কালিয়াগঞ্জ। সে﷽খানে দফায় দফায় অশান্তি ছড়াচ্ছে। মঙ্গলবার দোষীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামেন স্থানীয়রা। কালিয়াগঞ্জ থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশ কর্মীকে মারধর করা হয়। এমনকী মহিলা পুলিশ কর্মীদেরও মারধর করার অভি🍨যোগ ওঠে। বিক্ষোভকারীদের রুখতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। এই অবস্থায় কালিয়াগঞ্জের পরিস্থিতি আবারও যেন উত্তপ্ত হয়ে না ওঠে সে কথা মাথায় রেখেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তবে ফোন এসএমএস বা খবরের কাগজ পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, কালিয়াগঞ্জ থানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বജন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় তিনি বিজেপি গুন্ডাদের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিহার থেকে লোক এনে অশান্তি ছড়ানো হয়েছে। মহিলা পুলিশ কর্মীদের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। অনেক সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠকেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশের উপরে যেখানে হামলা চালানো হচ্ছে সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হচ্ছে। এত সাহস ওরা কোথা থেকে পাচ্ছে! এগুলি আমি টয়লেট করব না।’ অন্যদিকে, পুলিশ কর্মী এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারদের মারধরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ঘটনায় তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন।