মঙ্গলবারের বিক্ষিপ্ত হিংসার জেরে রাত থেকেই চন্দননগর, শ্রীরামপুর ও সংলগ্ন অঞ্চলে প্রশাসনিক নির্দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হল। তার জেরে বিপাকে পড়ল জনজীবন।গতকাল সকালে ভদ্রেশ্বরের তাঁতিপাড়া, সেগুনবাগান এবং তেলেনিপাড়া অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর ও এডিজি সিআইডি সিদ্ধিনাথ গুপ্ত। হিংসার অন্যতম কারণ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত গুজবের দিকে আঙুল ওঠার পরে কড়া সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। তার জেরে মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে হুগলি জেলার চন্দননগর ও শ্রীরামপুর মহকুমায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। হুগলির ১১টি থানা এলাকায় এ দিনসকাল থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা৷ এই ১১টি থানা এলাকা হল, চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর, সিঙ্গুর, হরিপাল, তারকেশ্বর৷ অন্যদিকে, শ্রীরামপুর সাব ডিভিশনের আওতায় রয়েছে শ্রীরামপুর, রিষড়া, উত্তরপাড়া, ডানকুনি, চণ্ডীতলা ও জাঙ্গিপাড়া থানা এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ৷পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্দেশিকা জারি করেছেন হুগলির জেনাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও। আগামী ১৭ মে পর্যন্ত ওই অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। এ দিকে বুধবার সকাল থেকে ইন্টারনেটের অভাবে কঠিন সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। লকডাউনে শিক্ষা, অত্যাবশ্যক পণ্য সংগ্রহ ও বাণিজ্যের স্বার্থে অনলাইন পরিষেবার উপর সাধারণের নির্ভরতা বেড়েছে। প্রশাসনের সিদ্ধান্তে তাই বিপাকে পড়েছেন ঘরবন্দি বাসিন্দারা।