নতুন বছর শুরু হতে আর দেড় মাস বাকি। ২০২৫ সালের শুরুতেই হবে গঙ্গাসাগর মেলা। যেখানে বিপুল পরিমাণ পুণ্যার্থী সমাগম করবেন। পর্যটক থেকে পুণ্যার্থীর ঢল নামে সাগরের পুণ্যস্নানে। কিন্তু এখন গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তার সঙ্গে মুড়িগঙ্গা নদীর ড্রেজিংয়ের কাজও ঠিক মতো হয়নি বলে অভিযোগ। আর এই বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ রাজ্যের সেচম⛦ন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। এই অভিযোগ পেয়ে নিজের দফতরের অফিসারদের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। এমনকী কয়েকজন অফিসারকে ধমক দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
গতকাল শনিবার গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে সাগরে গিয়েছিলেন সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। সেখানে সবটা পরিদর্শন করার পর একাধিক দফতরের অফিসারদের নিয়ে মেলা অফিসে বৈঠক করেন। আর তাঁর নজরে যে সবটা ধরা পড়েছে সেটা কড়া ভাষায় বুঝিয়ে দেন মানসবাবু༺। ওই বৈঠকে দফতরের অফিসারদের ভুল–ত্রুটি সামনেই তুলে ধরেন সেচমন্ত্রী। আর ধমক দিয়ে ভবিষ্যতের পরিকল্পনাগুলি নিয়ে বেশি করে সচেতন হতে নির্দেশ দেন। ওই বৈঠকে সেচমন্ত্রী বলেছেন, গত দেড় বছর ধরে গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতে সবচেয়ে বেশি ভাঙন হচ༒্ছে। আর সেটা ঠেকাতে কেন এতদিন সঠিক কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি? প্রশ্ন তোলেন বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: সরকারি বাস ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচার, তিনজন মহিলা–সহ ১১জন গ্রেফতার
এখানেই শেষ নয়, মানস ভূঁইয়া এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে রীতিমতো চেঁচামিচি করেন অফিসারদের উপর। তিনি স্পষ্ট জানান, এটা বামফ্রন্ট সরকার নয়। গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসালে হবে না। এটা মা–মাটি–মানুষের সরকার। এখানে কাজ করাটাই মূল লক্ষ্য। এই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চিন্তিত। তাই কোনও অজুহাত শোনা হবে না। কেন যাদবপুর এবং 𒀰কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করা হয়নি? কেন এতদিন সমীক্ষা🐓 ও গবেষণা করার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি? মুখ্যমন্ত্রী সবকিছু নিয়ে উদ্বেগে আছেন বলে সোচ্চার হন মন্ত্রী।