ব্যবসা বাড়ি থেকে তোলাবাজি তো চলছেই। এবার তোলাবাজির এক অভিনব পন্থা বার করলেন বৈদ্যবাটি পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলর। গৃহস্থের বাড়িতে কার্তিক ফেলে পুরসভার প্যাডে চাইলেন তোলা। ঘটনার কথা আবার নিজেই ফলাও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ওই কাউন্সিলর। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে দলের অন্দরে। দলের নেতা থেকে জনপ্রতিনিধি সবারই একই কথা, এভাবে পুরসভার প্যাডে তোলা চাওয়া উচিত হয়নি।বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পৌষালী ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে জানান, তিনি জনৈক শ্যামল মাইতির বাড়িতে কার্তিক ফেলেছেন। বাংলায় কার্তিক ফেলার রীতি নতুন নয়। যদিও অনেকেই তা ব্যক্তিস্বাধিনতায় প্রভাব খাটানোর সামিল মনে করেন। কিন্তু গোলমাল বেঁধেছে সেই কার্তিকের সঙ্গে ফেলা চিঠিকে নিয়ে। বৈদ্যবাটি পৌরসভার লেটার হেডে লেখা সেই চিঠিতে কার্তিক ফেলার খরচ বাবদ শ্যামলবাবুর কাছে ২ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। সবার নিচে সই করে পৌষালিদেবী লিখেছেন পৌরসভা অনুমোদিত।কাউন্সিলরের এই কাজ নিয়ে সমালোচনা শুরু হতেই তৎপর হন পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো। পৌষালীদেবীকে ফোন করে ধমক লাগান তিনি। সংবাদমাধ্যমকে পুরপ্রধান জানিয়েছেন, এরা পুরসভার লেটারহেডের গুরুত্ব জানে না। এভাবে ব্যক্তিগত কাজে পুরসভার লেটারহেড ব্যবহার করা যায় না। ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।ওদিকে বিজেপির দাবি, জল ছাড়া যেমন মাছ বাঁচতে পারে না তেমন তৃণমূল এখন কাটমানি ছাড়া বাঁচতে পারে না। কোনও দিন শুনেছেন কেউ কারও বাড়িতে কার্তিক ফেলে টাকা চাইছে? এরা কাটমানি আদায়ের নিত্যনতুন পন্থা আবিষ্কার করছে। আর কত নীচে নামবে এরা?