বুধবার ঠিক ৯টা বেজে ১৬ মিনিট। বর্ধমান থেকে ছেড়ে ব্যান্ডেলের দিকে ছুটছিল লোকাল ট্রেন। শক্তিগড় স্টেশনের কাছে ট্রেনের গতি কিছুটা কম হয়। তবে তখনই বড় বিপত্তি। ট্রেনের প্রথমের দুটি কামরা লাইন থেকে বেরিয়ে যায়। পাশেই ছিল একটি মালগাড়ি। সেটার চাকাও বেলাইন হয়ে যায়। ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় রেলযাত্রীদের মধ্য়ে। কিন্তু কেন এমন হল? এর পেছনে কি কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি চালকের ভুল?তবে এব্যাপারে কারণটা জানানো হয়েছে রেলের তরফে।পূর্ব রেলের মুখ্য় জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, যে দুর্ঘটনাটি হয়েছে তা অত্যন্ত দায়িত্ব নিয়ে বলছি এর জন্য সম্পূর্ণভাবে চালকের ত্রুটি ছিল। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি।সূত্রের খবর, যেখানে ট্রাক পরিবর্তন হয় সেখানে থাকে ফাউলিং মার্ক থাকে। অর্থাৎ দেখবেন দুটি লাইনের মাঝে লেখা থাকে FM। আর সেটা যাতে রাতে দেখা যায় সেকারণে সেই এফএম শব্দটি ফ্লুরোসেন্ট রঙে লেখা থাকে। কিন্তু বুধবার যে লোকাল ট্রেনটি বেলাইন হয়েছিল সেটা এফএম লেখা অংশটি পেরিয়ে চলে গিয়েছিল। এমনকী লোকাল ট্রেনের চালক সিগন্যাল মানেননি বলেও খবর। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। এমনকী বিপদ সংকেত না মেনে ট্রেন নিয়ে চালক এগিয়ে গিয়েছিলেন বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। সেকারণে ট্রেন বেলাইন হয়ে যায়।এদিকে সূত্রের খবর, বিগত দিনে শিয়ালদা স্টেশনের কাছে দুটি লোকাল ট্রেনের মধ্য়ে সংঘর্ষ হয়েছিল। সেবারও দেখা গিয়েছিল রেল চালকের ত্রুটি ছিল। এবারও রেল চালকের ত্রুটির জন্য সমস্যা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে রেলকর্তৃপক্ষ। তবে অল্পের জন্য় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই মিলেছে। তাছাড়া রেলের গতি যদি বেশি থাকত তবে বিরাট দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।তবে এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে কেন সংশ্লিষ্ট চালক এভাবে বিপদ সংকেত না মেনেই চালিয়ে দিলেন? তিনি কি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন? নাকি দেখতে পাননি সিগন্যাল? এনিয়ে রেল ইতিমধ্যেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে। এবার এনিয়ে রেলের ওই চালকের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।তবে বুধবার রাত থেকেই ট্রেনটিকে সরানোর চেষ্টা করা হয়। এরপর সকাল থেকে দ্রুতগতিতে কাজ চলতে থাকে। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার সকালেও ওই লাইনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ধীরে ধীরে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup