পরীক্ষা দিতে এসেও পরীক্ষা দিতে পারলেন না পরীক্ষার্থী। কলকাতা পুলিশের পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন ওই ছাত্রী। কিন্তু আজ, রবিবার কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পরীক্ষায় বসতে পারলেন না পরীক্ষার্থী। আর এই ঘꦐটনা নিয়ে♚ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ পরীক্ষায় বসতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সামশেরগঞ্জের পরীক্ষার্থী। সামান্য ভুলের এমনই খেসারত দিতে হল ছাত্রীকে। যদিও সরাসরি ভুলটি ছাত্রীর নয়। ভুলটি আসলে প্রশাসনের।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? অ্যাডমিট কার্ডে বদলে গিয়েছে ছাত্রীটির লিঙ্গ। ফিমেলের জায়গায় মেল লেখা রয়েছে। এটা প্রশাসনিক ভুল। আর ছাত্রীর ভুল বলতে তিনি সেই লেখাটি খেয়াল করেননি অ্যাডমিট কার্ডে। অ্যাডমিট কার্ডে এই সামান্য ভুলের জন্যই রবিবার কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের পরীক্ষায় বসতে পারলেন না পরীক্ষার্থী। এমন খেসারতই দিতে হল তাঁদের। টুম্পা মার্জিত নামে ওই পরীক্ষার্থ💮ীর অ্যাডমিট কার্ডে স্ত্রী লিঙ্গের জায়গায় পুরুষ করা রয়েছে। বাকি সমস্ত বিষয় ঠিক থাকলেও লিঙ্গে ভুল ছিল। যেটা একজন পরীক্ষার্থীর পক্ষে করা সম্ভব নয়। তাই চোখের জল ফেলে পরীক্ষাকেন্দ্র ছাড়লেন ছাত্রী।
আর কী জানা যাচ্ছে? ওই অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে গেলে বাধা দেন গার্ডরা। তখন তিনি দেখেন অ্যাডমিট কার্ডে ফিমেলের জায়গায় লেখা রয়েছে মেল। আর তাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরীক্ষার্থী। কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পদের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিতে মুর্শিদাবাদে এসেছিলেন টুম্পা মার্জিত। কিন্তু পরীক্ষা দিতে গিয়ে বাঁধল বিপত্তি। অ্য়াডমিট কার্ডে এমন ভুলের জন্য পরীক্ষায় বসতে পারলেন না তিনি। রবিবার মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার পঞ্চগ্রাম আইএসএ হাইস্কুলে সিট পড়েছিল তাঁর। খড়গ্রামের ঝিল্ল﷽ি অঞ্চল থেকে সামশেরগঞ্জে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তিনি। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে দীর্ঘ পথ পেরিয়েও শেষ পর্যন্ত দিতে পারলেন না পরীক্ষা।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই সমস্যার কথা স্কুলের ভেনু ইনচার্জ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তাদের জানান ছাত্রী। কিন্তু লাভ হল না ছাত্রী টুম্পার। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারলেন না তিনি। এই অ্য়াডমিট কার্ড নিয়ে পরীক্ষায় বসা যাবে না বলে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়꧅। তখন অঝোরে কাঁদতে থাকেন ওই পরীক্ষার্থী। এই ঘটনা নিয়ে টুম্পা মার্জিত সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ওরাই অ্যাডমিট কার্ডে ফিমেলের জায়গায় মেল করেছে। এখন আমাকে ঢুকতে দিল না পরীক্ষা দিতে। আমি তো সাইবার ক্যাফে থেকে ফর্ম ফিলাপ করেছিলাম। ই–মেল এসেছিল, আমি খেয়াল করিনি। এখন আমি পরীক্ষাটা শুধু দিতে চেয়েছিলাম।’