আজ, শনিবার চার জেলায় পথ অবরোধ করলেন কুড়মি জাতির মানুষজনেরা। কুড়মি জাতিཧকে তফশিলি উপজাতিভুক্ত করতে হবে বলে মূল দাবি তাঁদের। এছাড়া আরও কয়েকটি দাবি আছে। এই দাবিগুলিকে সামনে রেখে সকাল থেকে পথ অবরোধ করা হয় একাধিক জেলায়। কুড়মালি ভাষাকে সাং💛বিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া এবং সারণা ধর্মকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন কুড়মি জাতির মানুষজনেরা। জেলায় কুর্মি সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে ‘ঘাঘর ঘেরা’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির অর্থ পথ অবরোধ করা।
এদিকে ঝাড়গ্রাম ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ায় একযোগে আন্দোলনে নেমেছে কুর্মি সমাজ (পশ্চিমবঙ্গ)–সহ তাদের চারটি সংগঠন। চার জেলার বিভিন্ন জায়গায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আর তার জেরে জেলায় স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়েছে। মোট চার দফা দাবিতে শনিবার ꦛসকাল থেকে বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার হরিণটুলি গ্রামে পথ অবরোধ শুরু করে কুড়মি সমাজ। অবরোধ চলছে ঝাড়গ্রামের জাম্বনি মোড়েও। একই ছবি পুরুলিয়াতেও।
অন্যদিকে বাঁকুড়া–ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কুড়মি সমাজের মানুষজন। এই অবরোধের জেরে সকাল থেকেই বাঁকুড়া–ঝাড়গ্রাম রাজ্য সড়কে যান চলাচল ♈থমকে যায়। ১২ ঘণ্টা ধরে এই অবরোধ চলবে বলে জানানো হয়েছে। আগেও এভাবে রাস্তা, রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করেছিলেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষজন। তারপরও তাঁদের দাবি পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ। তাই ফের পথ অবরোধ করেছেন তাঁরা। আজ থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার শিবির। বিভিন্ন এলাকায় অবরোধের জেরে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে মানুষ পৌঁছতে হিমশিম খাচ্ছেন। এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে আদিবাসী জনজাতি কুর্মি সমাজ, কুর্মি সেনা এবং কুর্মি যুবা একিন–এর মতো আরও তিনটি সামাজিক সংগঠন। ফলে☂ আন্দোলনের আকার বড় হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই পথ অবরোধের ফলে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই বিষয়ে কুড়মি সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি উত্তম কুমার মাহাতো বলেন, ‘৭৩ বছর ধরে এই আন্দোলন চলছে। আমরা সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আছি। একাধিকবার আন্দোলন করার পরও সরকার কোনও ভ্রূক্ষেপ করছে না। এবার দাবি না মানা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।’ ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতায় সাইকেল অভিযান করা হবে বলে সূত্রের খবর। রবি🌳বার থেকে নানা কর্মসূচি আছে এই কুড়মি সমাজের। সুতরাং জঙ্গলমহলের জনজীবন কার্যত স্তব্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জাতীয় সড়ক এবং রেল অবরোধের কর্মসূচিও রয়েছে।