টানা পাঁচদিন আন্দোলন গড়ে তোলার পর এবার তা থামল। কুড়মি সম্প্রদায়ের আন্দোলনই কেন্দ্রীয় সরকারকে টের পাইয়ে দিল কত ধানে কত চাল। ১০০ ঘণ্টা পর রেল অবরোধ প্রত্যাহার করলেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষজন। অবশেষে রেল অবরোধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন অবরোধকারীরা। তাঁদের আন্দোলনের জেরে নিত্যয✅াত্রীদের নাকাল হতে হয়েছে। চরমে উঠেছিল দুর্ভোগ। আজ, শনিবার আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন কুড়মি সম্প্রদায়। তিন জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর জট কাটল। আর এই খবরে স্বস্তি পেলেন সাধারণ মানুষজন।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছিল? কুড়মি সম্প্রদায় বেশ কয়েকটি দাবি তুলেছিল। তার মধ্যে ছিল, কুড়মি জাতিকে তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত করা, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাঁদের উন্নয়ন ঘটানো। এই দাবির বে༺শিরভাগটাই কেন্দ্রীয় সরকারের অন্তর্গত। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখেছিলেন। যাতে কর্ণপাত না করার জেরে এই আন্দোলন দীর্ঘ হল। গত চার দিন ধরে রাজ্যের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়ে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার বেশকিছু অংশ। টানা পাঁচদিন অচলাবস্থা তৈরি হয় রেল চলাচল এবং সড়ক যোগাযোগে।
কোন পথে এল সমাধান? তিন জেলার ডিএমদের সঙ্গে বৈঠকের পর আপাতত জট কাটল। আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের সঙ্গে আলোচনার পর অবরোধ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা। তবে আগামী দিনে তাঁদের দাবি যদি না মেটে তাহলে আবারও আন্দোলনের পথে যেতে পারেন তাঁরা। আজ, শনিব꧟ার পাঁচদিনে পড়েছিল কুড়মিদের আন্দোলন। পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দার দফতরে ভিডিয়ো কনফারেন্স হয়। সেখানে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের সচিব সঞ্জয় বনশলের সঙ্গে বৈঠক হয়। সিআরআই–এর চিঠ𓆉িতে যে ভুল ছিল তা সংশোধন করার কথা জানানো হয় রাজ্যের পক্ষ থেকে। এই ইতিবাচক বার্তা পেয়ে অবরোধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা বলে সূত্রের খবর।