খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বারবার কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছﷺে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে। এটা ভাতা–অনুদানের সরকার বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। সিপিএমের নেতারাও এটাকে ভিক্ষা বলেছেন। যেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেক মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে তাঁদের সাহায্য করছেন। আগে এই প্রকল্পে মহিলারা ৫০০ এবং ১০০০ টাকা পেতেন। তৃতীয়বার সরকারে আসার পর সেটাই ১০০০ সাধারণ মহিলাদের এবং ১২০০ তফসিলি জাতি, উপজাতির মহিলাদের দেন। সেখানে এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়ানোর অনুরোধ করলেন খোদ বিজেপি সাংসদ।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মহিলাদের কথা ভেবে চালু করেছিলেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এবার আগের টাকার পরিমাণের থেকে তা বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করার আবেদন জানালেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ। রাজ্য সরকারকে বিঁধে বিজেপি সাংসদের দাবি, ‘দেশের মধ্যে বংলায় মুদ্রাস্ফিতী সবচেয়ে বেশি। এখানে জিনিসপত্রের দাম সবচেয়ে বেশি। 𝄹নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া। যা সামলাতে মাসিক ১০০০–১২০০ টাকা যথেষ্ট নয়।’ এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। তাঁর অনুরোধ, নারীর ক্ষমতায়নে অনুদান বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করা হোক লক্ষ্💧মীর ভাণ্ডার।
আরও পড়ুন: হোটেলের বাড়বাড়ন্তে মন্দারমণির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের ক্ষতি! বাম আমলেই শ্রীবৃদ্ধির অভিযোগ
এখানেই শেষ নয়, মহারাষ্ট্র–মধ্যপ্রদেশ–ঝাড়খণ্ডের তুলনা চেনে আনেন বিজেপি সাংসদ। জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো চিঠিতে লেখেন,⛄ ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বৃদ্ধি করুন।’ নাম না করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনাও তুলে ধরেছেন। বিজেপি সাংসদের দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। সিবিআই–ইডি তদন্তে দেখা গিয়েছে, তাঁরা সকলেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।
বিজেপি সাংসদের এই চিঠির কথা এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। তারপরই তা এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। কারণ বেশিরভাগ প্রচার, সমাবেশ থেকে বারবার বঙ্গ–বিজেপি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সমালোচনা করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিরই সাংসদ এই অনুদান বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করছেন। যা উপনির্বাচনের ফলাফলের আগে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বিজেপি সাংসদের কথায়, ‘এইসব টাকা সঠিকভাবে ব্য়বহার করা হলে প্রত্যেক মাসে মহিলাদের ২ হাজার টাকা দেওয়া কঠিন হবে না। অনুদান বৃদ্ধি হলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রকৃত উদ্দেশ্যসাধন হবে। তা না হলে এট✃া শুধু ভোট কেনার হাতিয়ার হয়ে থেকে যাবে।’