কালবৈশাখীর তাণ্ডবে উলটে গেল লঞ্চ। কোনওভাবে প্রাণ বাঁচল লঞ্চে থাকা তিনজনের। গতকাল কাকদ্বীপের মুড়িগঙ্গা এমভি সুচিত্রা নামে ওই লঞ্চটি উলটে যায়। ঝড়ের কবলে পড়ে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ করে চিৎকার করছিলেন লꦜঞ্চের চালক এবং অন্য দুই কর্মী। খবর পেয়ে হারুউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। এই ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন লঞ্চের চালক এবং অন্যান্য কর্মীরা।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড় ওঠার সময় নদী থেকে খালের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল লঞ্চটিকে। সেইসময় আচমকাই কালবৈশাখীর তাণ্ডব শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই লঞ্চটি উলটে যায়। লঞ্চের কর্মী, চালকদের চিৎকারে প্রথমে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, প্রচণ্ড ঝড় এবং উত্তাল নদীতে তাদের পক্ষে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তখন খবর দেওয়া হয় পুলিশে। সঙ্গে সঙ্গে হারুউড পয়েন্ট কোস্টাল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন জনকে উদ্ধার করে। লঞ্চের চালক স্বপন মাইতি জান🦄ান, ‘আমরা ঝড় ওঠার অনুমান করে লঞ্চটিকে খালে নিয়ে যাচ্ছিলাম। লঞ্চের ইঞ্জিন চালাতেই ঝড় শুরু হয়ে যায়। সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে দেয়। তীব্র ঝড়ে লঞ্চটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে যায়। বিপদ বুঝে প্রাণ রক্ষার জন্য আমরা বাঁচা বাঁচাও চিৎকার করি। তারপরই পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।’
লঞ্চের কর্মীরা জানিয়েছেন, মূলত সরকারি আধিকারিকদের যাতায়াতের জন্য লঞ্চটি ব্যবহার করা হতো। লঞ্চের আরেক কর্মী সুজন মাল জানান, ‘পুলিশ না আসলে হয়তো আমরা প্রাণে বাঁচতাম না।’ তবে ঘটনার পর থেকে তিনি আতঙ্কে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ঝড়ের মধ্যে আমার লঞ্চ ধরে কোনওভাবে ডুবে যাওয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম আর কোনওভাবে সম্ভব হচ্ছেনা তখন আমরা চিৎকার করতে শুরু করি।’ লঞ্চে প💦্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়ে🍰ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।