জোট গড়ে নন্দকুমারে সমবায় সমিতির ভোটে সাফল্য এলেও পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে সাফল্য পেল না বাম-বিজেপি। ভোটে তৃণমূলের কাছে কার্যত ভরাডুবি হয়েছে জোটের। মহিষাদল কেশবপুর সমবায় সমিতির ৭৫টি আসনের মধ্যে ৬৯টিতে জয়লাভ করেছে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। অন্য দিকে বাম-বিজেপি জোট পেয়েছে ৭টি আসন। সূত্রের খবর, বিরোধীদের দাবি মেনে তিনটি আসনে পুনর্গণনা হচ্ছে।কেশবপুর সমবায় সমিতির মোট ৭৬টি আসনের মধ্যে একটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগে জিতে যায় তৃণমূল। রবিবার বাকি ৭৫টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়। এর পর বিকাল চারটে নাগাদ ভোট গণনা শুরু হয়। শুরুতেই ২৭টি আসন শাসকদল জিতে যায়। পরে সেই ব্যবধান আরও বাড়ে। চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর দেখা যায় ৬৯টি আসন জিতে নিয়েছে তৃমমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। বিরোধী জোট পেয়েছে ৭টি আসন। তিনটি আসনে ফের গণনার দাবি তোলে বিরোধী জোট।ফলপ্রকাশের পর স্থানীয় তৃণমূল নেতা তরুণকান্তি মণ্ডল বলেন,‘আমরা প্রথমেই বলেছিলাম বাম বিজেপির অশুভ জোট পরাজিত হবে। ওরা বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছে। এ রকম যত জোট করবে তত ওরা ধরাশায়ী হবে।’প্রসঙ্গত, এই জোট হয়েছিল সিপিআইয়ের সঙ্গে বিজেপির। একে কটাক্ষ করে সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, সিপিএম নেই বলেই এমন ফল হল।সিপিএম থাকলে অন্য ফল হত।কয়েকদিন আগে একই জেলার নন্দকুমার-বহরমপুর সমবায় সমিতির নির্বাচনে জেতে বাম-বিজেপি জোট। সেই জোট হয়ছিল মূলত সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে। সমবায় সমিতির ৬৩টি আসনের মধ্যে সব কটিতেই জয়লাভ করে জোট। এই মডেলকে কেন্দ্র করে জোর রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়—তবে কি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে পথ দেখাল নন্দকুমার?পরবর্তীকালে মহিষাদলের সমবায় সমিতির নির্বাচনের মডেল মেনে প্রার্থী দেয় সিপিআই-বিজেপি। কিন্তু এখানে কার্যত ভরাডুবি হল জোটের।