পুরুলিয়ায় সাধুদের হেনস্থার ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সেইসঙ্গে পুরুলিয়া জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ভাষাগত সমস্যার কারণে যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত হয়। তিন নাবালিকা ভেবেছিলেন যে তাঁদের পিছু নিয়েছেন সাধুরা। আতঙ্কিত হয়ে তাঁরা চিৎকার করে ওঠেন। সেই পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে চলে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হেনস্থা করা হয় সাধুদের। ভাঙচুর চালানো হয় তাঁদের গাড়িতে। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুুরুলিয়া পুলিশ। সেইসঙ্গে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েকটি মহলের তরফে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। যা মোটেও সঠি🍰ক নয়।
উল্লেখ্য, ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করে বিজেপির ছোট-বড়-মেজো নেতারা দাবি করতে থাকেন যে বাংলায় হিন্দু হওয়াই যেন অপরাধ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে সাধুদের মারধর করা হচ্ছে। অথচ শেখ শাহজাহানের মতো ‘জঙ্গি’-কে সুরক্ষা দিয়ে রেখেছে মমতার সরকার। সরাসরি না হলেও সেই বিষয়টি খারিজ করে দিয়েছে পুলিশ। শনিবার সকালে পুরুলিয়া পুলিশের তরফে এক𒅌টি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পুরুলি🌺য়ার একটি সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে কয়েকটি মহলের তরফে ভুলভাবে তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে।'
‘আদতে’ কী হয়েছিল, সেটা বিস্তারিতভাবে জানিয়েছে পুলিশ। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বাস্তবটা হল যে ভাষাজনিত সমস্যার কারণে ১১ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকেলে কাশীপুরের কাছে গঙ্গাসাগরগামী তিন সাধু এবং তিন স্থানীয় নাবালিকার মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। নাবালিকারা ভয় পেয়ে গিয়েছিল। অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে সাধুদের হেনস্থা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করে💦ন। দ্রুত পুলিশের তরফে পদক্ষেপ করা হয় এবং সাধুদের উদ্ধার করা হয়। একটি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাধুদের সবরকমের সহযোগিতা করা হয়েছে।’
পরে বিষয়টি আরও ব্যাখ্যাꦫ করে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'তিনজন সাধু গাড়িতে করে কাশীপুর রোড ধরে ছাতনায় যাচ্ছিলেন। গৌরাঙ্গডির কাছে স্থানীয় কালী মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছিলেন তিনজন মেয়ে। সাধুরা সেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়েছিলেন। ভাষাগত সমস্যার কারণে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়। মেয়েদের মনে হয়েছিল যে সাধুরা তাঁদের অনুসরণ করছেন। তাঁরা চিৎকার করতে থাকেন। তা শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে চলে আসেন।'
আরও পড়ুন: পুরুলিয়ায় সাধুদের হেনস্থা, মমতাকে মুমতাজ বলে কটাক্ষ রামমন্দিরের প্রধান পুরܫোহিতের
তিনি আরও বলেন, ‘সাধুদের ঘিরে দুর্গা মন্দিরের নিয়ে যান। গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। সা𝓀ধুদের হেনস্থা করা হয়। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। সাধুদের উদ্ধার করা হয়। তাঁদের সবরকমের সহযোগিতা করা হয়। একজন সাধুর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজℱু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’